‘শাপলা কলি’
ইসি বুঝিয়েছে আমরা বাচ্চাদের দল: সামান্তা
- Update Time : ১০:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮৯ Time View
নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতীকের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ‘শাপলা কলি’।
অন্যদিকে ‘শাপলা’ প্রতীক পেতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এর আগে কয়েক দফা বৈঠক করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দিয়েও বলা হয়েছিল ‘শাপলা’ না দিলে তারা নিবন্ধন নেবে না। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ নতুন প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইসি সচিব বলেছেন, ‘ইলেকশন কমিশন মনে করেছে যে, ‘শাপলা কলি’ রাখা যেতে পারে। এটা কারও দাবির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক না।
তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনসিপির নেতারা। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘কোনো ধরনের আইনি কারণ ছাড়া আমাদেরকে শাপলা কলি দিয়ে গেজেট দিয়েছে ইসি। তারা বুঝিয়েছে আমরা বাচ্চাদের দল।’ বড় দলগুলোও এনসিপিকে তেমনভাবে মূল্যায়ন করে থাকে বলে অভিযোগ করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘এটি এক ধরনের বৈষম্য’।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। যদিও ইসি শাপলা কলিকে তালিকাভুক্ত করলেও এখনও কোনো দলকে এই প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেনি।
একই সেমিনারে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, কমিশন কীসের ভিত্তিতে শাপলা কলি নির্ধারণ করেছে, তা তাদের বোধগম্য নয়। তবে শাপলা প্রশ্নে আমরা আপসহীন। ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ প্রকৃতপক্ষে ‘নোট অব চিটিং’। আর জামায়াত মুখে জুলাই সনদের কথা বললেও তারা নিম্নকক্ষে পিআরের কথা বলে আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।’
ইসির প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছে। দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। এটা আমার মনে হয় ব্যাখার অবকাশ রাখে না।’
তিনি বলেন, তালিকার কিছু প্রতীক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য আসায় সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন প্রতীক যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে শাপলা কলিও রয়েছে। এর সঙ্গে কারও কোনো দাবির বিষয় প্রাসঙ্গিক নয়। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা প্রতীকের তালিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব জানান, আগের ১১৫ টি প্রতীক থেকে ১৬ টি বাদ দিয়ে নতুন প্রতীক যুক্ত করার পর তালিকায় সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৯। নির্বাচন কমিশন মনে করেছে সংশোধন করা দরকার, তাই করেছে। কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, স্বাধীনতা আছে বলেই তালিকা সংশোধন করেছে।





































































































































































































