ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেটে প্রধান বিচারপতির সাথে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে প্রয়োজনে আবার জীবন দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করব : মামুনুল হক সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দের সাথে প্রধান বিচারপতির মতবিনিময় সভা জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করে যে সংস্কার হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি : ছাত্রশিবির সভাপতি ধসে পড়ল মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধি, ভেতরে আটকা বহু বনানীতে সিসা বারে যুবককে কুপিয়ে হত্যা রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধে ধস, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-২ আনিসুল হক ও গোলাম সরোয়ারের বেপরোয়া লুটপাট-১ রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে র‍্যাব-৩ এর অভিযান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১২৯ Time View

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কাছে সমকামীতা, ক্লাসের মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত, বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো সহ নানা লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীরা।

মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনর সামনে থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মীর-মোশারফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়ে, “হাফিজের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না” “সমকামী শিক্ষক চাই না, চাই না” “হাফিজ হটাও ডিএস বাঁচাও” নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয়।

পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ফটকে কুশপুত্তলিকা টানিয়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়, তার কিছুক্ষণ পরে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন । সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে হেনস্তা করতো এই শিক্ষক। সে সহকামিতা সার্পোট করে। অনেক শিক্ষার্থীকে তাঁর বাসায় ডেকে অফার করা হয়েছে। আমরা তাঁর বহিষ্কার চাই।

গত ৮ অক্টোবর এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে এবং ২২ অক্টোবর বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মূল রিপোর্ট প্রধান করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কাছে সমকামীতা, ক্লাসের মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত, বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো সহ নানা লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীরা।

মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনর সামনে থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মীর-মোশারফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়ে, “হাফিজের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না” “সমকামী শিক্ষক চাই না, চাই না” “হাফিজ হটাও ডিএস বাঁচাও” নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয়।

পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ফটকে কুশপুত্তলিকা টানিয়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়, তার কিছুক্ষণ পরে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন । সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে হেনস্তা করতো এই শিক্ষক। সে সহকামিতা সার্পোট করে। অনেক শিক্ষার্থীকে তাঁর বাসায় ডেকে অফার করা হয়েছে। আমরা তাঁর বহিষ্কার চাই।

গত ৮ অক্টোবর এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে এবং ২২ অক্টোবর বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মূল রিপোর্ট প্রধান করবেন।