ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যু নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান ছেলে জয়ের

- Update Time : ০৯:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫৬ Time View
লন্ডনে চিকিৎসাধীন চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর ছেলে ও নিসচার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিরাজুল মইন জয় কানাডা থেকে এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জয় বলেন, ‘বাবা বর্তমানে অসুস্থ। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে নিয়মিতভাবে। দয়া করে কেউ কোনো গুজবে কান দেবেন না। আমি দেশবাসীসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’
জয় আরও বলেন, ‘বাবার অসুস্থতার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশ-বিদেশে “নিরাপদ সড়ক চাই”-এর কর্মী, বাবার ভক্ত এবং সাধারণ মানুষ যে আন্তরিকভাবে দোয়া করছেন, বিশেষ করে আজ জুমার নামাজে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন। এর জন্য আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।’ তবে কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করে জয় বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুক ব্যবহারকারী সামান্য ভিউয়ের আশায় বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রকাশ করছেন। এগুলো জনমনে আঘাত হানছে এবং আমার বাবার ভক্তদের কষ্ট দিচ্ছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
১ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিসচার সংবাদ সম্মেলনে কানাডা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মিরাজুল মইন জয় জানান, ইলিয়াস কাঞ্চন সাত মাস ধরে অসুস্থ। ৬ মাস ধরে তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন। জয় বলেন, ‘আমার বাবা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত, তার চিকিৎসা চলছে। এ বছরের শুরুতে তিনি শারীরিক নানা সমস্যার মুখোমুখি হন। দিন দিন অবস্থার অবনতি হতে থাকলে গত ৯ এপ্রিল তাকে ঢাকার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার মাথার এমআরআই করা হয়। রিপোর্টে জানা যায়, তার মাথায় টিউমার হয়েছে।’ ডাক্তারদের মতামত জানার পর ইলিয়াস কাঞ্চনকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৬ এপ্রিল তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
জয় জানান, লন্ডনে পৌঁছার পরদিন তাকে সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরো সার্জারির ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। তিন মাস নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে গত ৫ আগস্ট লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। ডাক্তাররা অপারেশনের আগেই জানান পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। এতে জীবনহানি অথবা প্যারালাইসড হয়ে চলনশক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। ইলিয়াস কাঞ্চনের মাথার টিউমারের কিছু অংশ অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে। বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।