ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান ও তুরস্ককে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৭১ Time View

ইরান ও তুরুস্কের পতাকা।

খুবই ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। আরব নেতাদের অনৈক্যকে কাজে লাগিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করতে চায় ইসরায়েল।

তুর্কি এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না এবং ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, লেভেন্ট গুলতেকিন তার ইউটিউব পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বলেছেন ইরান ইস্যু পশ্চিম এশিয়ার অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি, যার মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা তাদের নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাক এবং তারপরে সিরিয়াকে ভেঙে দিয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে ইরান ও তুরস্কের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি সে কথা উল্লেখ করে তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, মনে হচ্ছে এই কারণেই সবাই গাজা শান্তি চু্ক্তিতে সম্মত হয়েছে।

কিন্তু তারপরও ইসরায়েল তাদের মূল প্রকল্প অর্থাৎ এই অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা থেকে সরে আসেনি।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল মনে করে যে গাজা সমস্যা যেভাবেই হোক সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরে এখন এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো তাদের টার্গেটে রয়েছে।

এই তুর্কি বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে ইরানের প্রতি আমেরিকা ও ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা আবার বেড়েছে। তিনি বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক বক্তব্য খুবই চিন্তার বিষয়।

বর্তমান সময়ে এরদোগানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে গুলতেকিন আরও বলেন, ট্রাম্প যে প্রতিটি বক্তৃতায় এরদোগানের প্রশংসা করেন, সেখানে তিনি তুর্কি সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর উপরও জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে তুরস্কের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে এবং সিরিয়ার সমস্যা সমাধানসহ অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে।

এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলিরা “নতুন মধ্যপ্রাচ্য” নামক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসেনি এবং এরপর ইরান ও তুরস্ক ইসরায়েলের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইরানে ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য মোটেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা নয়, বরং ইরানকে কমপক্ষে তিন বা চারটি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা।

তবে গুলতেকিন জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানি জাতি এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক অনন্য মডেল এবং এই অঞ্চলের জনগণের ইরানিদের কাছ থেকে তাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

ইরান ও তুরস্ককে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৭:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

খুবই ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। আরব নেতাদের অনৈক্যকে কাজে লাগিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করতে চায় ইসরায়েল।

তুর্কি এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ইসরায়েল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না এবং ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, লেভেন্ট গুলতেকিন তার ইউটিউব পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বলেছেন ইরান ইস্যু পশ্চিম এশিয়ার অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি, যার মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা তাদের নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাক এবং তারপরে সিরিয়াকে ভেঙে দিয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে যে ইরান ও তুরস্কের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি সে কথা উল্লেখ করে তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, মনে হচ্ছে এই কারণেই সবাই গাজা শান্তি চু্ক্তিতে সম্মত হয়েছে।

কিন্তু তারপরও ইসরায়েল তাদের মূল প্রকল্প অর্থাৎ এই অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ডবিখণ্ড করার চেষ্টা থেকে সরে আসেনি।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল মনে করে যে গাজা সমস্যা যেভাবেই হোক সমাধান হয়ে যাবে, কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরে এখন এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো তাদের টার্গেটে রয়েছে।

এই তুর্কি বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে ইরানের প্রতি আমেরিকা ও ইসরায়েলের মধ্যে শত্রুতা আবার বেড়েছে। তিনি বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক বক্তব্য খুবই চিন্তার বিষয়।

বর্তমান সময়ে এরদোগানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে গুলতেকিন আরও বলেন, ট্রাম্প যে প্রতিটি বক্তৃতায় এরদোগানের প্রশংসা করেন, সেখানে তিনি তুর্কি সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ানোর উপরও জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে তুরস্কের একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে এবং সিরিয়ার সমস্যা সমাধানসহ অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে।

এই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলিরা “নতুন মধ্যপ্রাচ্য” নামক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসেনি এবং এরপর ইরান ও তুরস্ক ইসরায়েলের পরিকল্পনায় রয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইরানে ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য মোটেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা নয়, বরং ইরানকে কমপক্ষে তিন বা চারটি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা।

তবে গুলতেকিন জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানি জাতি এই অঞ্চলে দেশপ্রেমের এক অনন্য মডেল এবং এই অঞ্চলের জনগণের ইরানিদের কাছ থেকে তাদের মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার শিক্ষা নেওয়া উচিত।