ইবিতে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে হলের নামকরণের দাবি শায়খ আহমাদুল্লাহর

- Update Time : ০৯:২৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩২১ Time View
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রয়াত অধ্যাপক ও বরেণ্য আলেম ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে অ্যাকাডেমিক বা আবাসিক হল না থাকার শূন্যতা অনুভব করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভেরিফাইড আইডিতে এ মন্তব্য করে পোস্ট করেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি হলের নামকরণের আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি লেখেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সিরাত সম্মেলনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতা মুগ্ধ করলেও একটি শূন্যতা হৃদয় থেকে অনুভব করেছি। সেটা হলো, বরেণ্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর নামে অ্যাকাডেমিক বা আবাসিক হল না থাকার শূন্যতা।
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার ছিলেন দেশের সম্পদ এবং জাতির জন্য আল্লাহর এক নেয়ামত। তিনি শুধু প্রাজ্ঞ আলেমই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দরদী সমাজ সংস্কারক। বক্তৃতা ও রচনার মাধ্যমে জীবনভর তিনি শিরক, বিদআত, খ্রিষ্টান মিশনারী অপতৎপরতা সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করেছেন। তার এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অসংখ্য মানুষ সঠিক পথের দীশা পেয়েছে।
আবার শতধা বিভক্ত জাতিকে তিনি যেভাবে ঐক্যের পথ দেখিয়েছেন, সেটাও এই দেশের প্রেক্ষিতে বিরল। তিনি আমাদেরকে প্রান্তিকতা ছেড়ে মধ্যমপন্থা শিখিয়েছেন। চিন্তার ভিন্নতা সত্ত্বেও ঈমানের অভিন্নতায় সকল মানুষকে কীভাবে কাছে টানতে হয়, শিখিয়েছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মতো আরো অনেক গবেষক নিশ্চয় আছেন, কিন্তু তার মতো এতটা জনবান্ধব, গণমুখী এবং সর্বশ্রেণির কাছে সমাদৃত লেখক-গবেষক খুব কমই আছেন। আবার কর্মের গুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন, তিনি তাদের শীর্ষে।
শুধু তাই নয়, ইসলামিক সাবজেক্টের শিক্ষক হিসেবে ইসলামকে তিনি শুধু ক্লাসরুমেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয়ে ইসলামের বার্তা নিয়ে তিনি সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন, ইসলামকে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। অন্য কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রে এমন নজির বিরল।
এর মাধ্যমে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেশবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত করেছেন। মৌলিক গবেষণা কর্মের মাধ্যমে স্যার যে হীরকতুল্য রচনাভাণ্ডার রেখে গেছেন, বিশ্বাস করি, সেগুলোই তাকে অমর করে রাখবে। তারপরও স্যারের নামে যদি কোনো একটি হলের নামকরণ করা হয়, তবে এর মাধ্যমে তার অবদানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহর এই পোস্টে শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন যে, বরেণ্য এই আলেমের নামে ইবিতে একটি হল হওয়া তাদের প্রাণের দাবি।
উল্লেখ্য, গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর) সিরাতুন নবি (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে “বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুল (সা.)” শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়