ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে হয়রানি, থানায় অভিযোগেও মিলছে না প্রতিকার
- Update Time : ০৫:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ৬১ Time View
রাজধানীতে এক দালালের খপ্পড়ে পড়ে অনেকটা হতাশ ও আতঙ্কগ্রস্ত বাঞ্ছারামপুরের হাসি বেগম। ইউরোপ যাত্রার নামে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে উল্টো দেখাচ্ছেন ভয়-ভীতি। এ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দিলেও টাকা পাওয়ার কোনো আশা দেখছেন না তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে এনে চাইছেন প্রশাসনের সহযোগিতা।
উত্তরা পূর্ব থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসি বেগমের ছেলে হাসান মিয়াকে লুক্সেমবার্গ পাঠানোর জন্য গত আট মাস আগে উত্তরার ট্রাস্ট ওভারসিজের চেয়ারম্যান সজিব মিয়া ১৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। সে কথার ভিত্তিতে হাসি বেগম প্রাথমিক ভাবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন এবং বাকি টাকা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দেয়ার কথা বলেন। তবে নির্ধারিত সময় পার হলেও লুক্সেমবার্গ পাঠানোর জন্য কিছুই করতে পারেননি সজিব মিয়া।
এই প্রেক্ষিতে টাকা ফেরত চাওয়া হলে তা না দিয়ে উল্টো আরো হুমকি-ধামকি দেন সজিব।
অভিযুক্ত সজিব নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগী হাসি বেগমের বাড়ি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে।
এ বিষয়ে হাসি বেগম বলেন, ‘আমি সরল মনে টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টাকা ফেরত পাওয়া দূরের কথা উল্টো আরো হুমকি দেয়া হচ্ছে আমাকে। একটি দালাল চক্রের খপ্পড়ে পড়েছি আমি। তার অবৈধ অনেক কাজ করে থাকে। ভুয়া অফার লেটার আর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্তি করে। তাদের হাত অনেক বড়। টাকা মেরে খাওয়াই তাদের কাজ। আমি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, ঠিক মতো তদন্ত করলে এই মানবপাচারকারীদের অনেক গোপন তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
টাকা লেনদেন সংক্রান্ত ও ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসের ভয়েস রেকর্ডের প্রমাণও রয়েছে হাসি বেগমের কাছে। অভিযুক্ত সজিবকে সেখানে নির্ধারিত তারিখে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তারাই এখন উল্টো চাপে আছেন! আমার কাছ থেকে যত টাকা পায় তা ঠিক মতোই বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি (সজিব) বিষয়টির পরিষ্কার কোনো ব্যাখা দিতে পারেননি।
থানায় অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসি বেগম বলছেন এক কথা আর অভিযুক্ত সজিব বলছেন ভিন্ন কথা। টাকার হিসাবে কিছুটা গড়মিল রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। অভিযোগকারীকে নিয়ে সজিবের অফিসে যাওয়া হবে, তখন পাওনা টাকা আদায়সহ বিষয়টির সমাধান হবে।
সজিবের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ ভুয়া অফার লেটার ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরির প্রমাণ রয়েছে বলে জানালে এসআই মিজান বলেন, এমন সব হয়েই থাকে, এ তো আর নতুন কিছু নয়। বিষয়টি দেখা হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়







































































































































































































