ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন ভোট বয়কট ক্ষমতাসীনদের, পার্লামেন্টে হট্টগোল

- Update Time : ০৭:০৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৮১ Time View
দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারির চেষ্টাকে কেন্দ্র করে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের জন্য ভোট নেওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগেই তার নিজ দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) অধিকাংশ সদস্য পার্লামেন্ট ত্যাগ করেছেন। এতে পার্লামেন্টে হট্টগোল বেধে যায়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির দাখিলকৃত এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালে পিপিপির কেবল একজন সদস্য আসনে অবস্থান করছিলেন। ফলে অভিশংসন প্রস্তাব পাশের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট নিশ্চিত হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ক্ষমতাসীনদের অন্তত আটটি ভোট বিরোধীদের প্রয়োজন। তবে, পিপিপি সদস্যরা ফার্স্ট লেডির বিরুদ্ধে বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগের বিষয়ে ভিন্ন একটি প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার পর পার্লামেন্ট ত্যাগ করেন। তাদের বেরিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক চিৎকার করে তাদের অভিসম্পাত করেছেন।
বিরোধী নেতারা জানান, অভিশংসনের এই প্রস্তাব ব্যর্থ হলে তারা বুধবার পুনরায় তা উত্থাপন করবেন।
সামরিক শাসন প্রয়োগের সিদ্ধান্তের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে পদত্যাগের দাবির মুখেও তিনি পদ ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, বাধ্য হয়েই তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে এর জন্য আইনি ও রাজনৈতিক দায় এড়ানোর চেষ্টা তিনি করবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপের কারণে আতঙ্কিত জনগণের কাছে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার দলের ওপর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে আমার মেয়াদ নিয়ে সিদ্ধান্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
জাতীয় পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে ইউন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে ক্যামেরার দিকে চেয়ে নীরবে মাথা নত করেন।
এদিকে, ইউন এখন আর নিজ দায়িত্ব পালনের অবস্থানে নেই বলে দাবি করেছেন পিপিপি নেতা হান ডং-হুন। তার পদত্যাগ অবশ্যম্ভাবী উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেছেন, ইউন দেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছেন। তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো প্রয়োজন।
অবশ্য পিপিপি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসনের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ জানিয়েছে, শনিবার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর সঙ্গে দেখা করেছেন হান ডং-হুন। সংবিধান অনুযায়ী, ইউন পদত্যাগ করলে বা অভিশংসিত হলে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউনের প্রেসিডেন্সির মেয়াদ ছিল ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা ত্যাগ করলে সংবিধান অনুযায়ী এর ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।