সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর এটি তার প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সাক্ষাৎকার। এতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি, দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিচার, আগামী নির্বাচন ও বিএনপির অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, ‘অন্যায়ের বিচার হওয়া উচিত এবং সেটা ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল- কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রতিশোধের কোনো বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা, আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগ দল হিসেবে অন্যায় করে থাকে, তাহলে তা আইনের আওতায় বিচারযোগ্য। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের প্রচলিত আইন ও আদালত।’ বিচার প্রক্রিয়া থেকে কোনো দল বা ব্যক্তি মুক্ত নয় বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমি ১৭ বছর ধরে প্রবাসে আছি। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য আমি বিদেশে আসি। আমি আমার ভাই, মা এবং আমাদের স্মৃতিময় ঘর রেখে এসেছিলাম। আজ আমার সেই ভাই নেই, মা অসুস্থ, স্মৃতিময় সেই ঘরও নেই। সবকিছু ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি কেবল তার পরিবারের কাহিনি নয়, বরং বাংলাদেশের হাজার হাজার পরিবারের কষ্টের প্রতিচ্ছবি।’
‘যে পরিবারের বাবা, ভাই, স্বামী- তাদের হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় জেলে কিংবা হাসপাতালে মারা যেতে হয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, সম্পত্তি লুটপাট হয়েছে। এসব অন্যায়, হত্যা ও নির্যাতনের হুকুমদাতাদের বিচার হতে হবে।’
বিবিসির প্রশ্ন ছিল, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না। এর জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘দল হিসেবে যদি তারা অন্যায় করে থাকে তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে। আইনই সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো দল রাজনীতিতে থাকবে কি না, সেটা নির্ধারণ করবে আদালত ও জনগণ।’
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাস করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।
‘যে দল খুন, গুম, লুটপাট, অর্থ পাচার করে- জনগণ তাদের সমর্থন করবে বলে আমি মনে করি না। আর জনগণ যদি কোনো দলকে সমর্থন না করে, তাহলে তাদের টিকে থাকার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না।’
তারেক রহমান তার বক্তব্যে বারবার উল্লেখ করেন, জনগণই বাংলাদেশের রাজনীতির মূল শক্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করি, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে চাই। সবচেয়ে বড় বিচারক হচ্ছে জনগণ।’














































































































































































