বিআইডব্লিউটিসিনামা-৪
আশিকুজ্জামান-মহসিন গংয়ের লুটপাটে বিআইডব্লিউটিসি ধ্বংসপ্রায়

- Update Time : ০৯:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ৬৬ Time View
বিআইডব্লিউটিসিতে স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর আশিকুজ্জামান দীর্ঘ ১৬ বছর ধরেই অপ্রতিরোধ্য। আর তাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সিবিএ নেতা মহসিন। এদের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে সংস্থাটি লুটপাট করা হয়েছে। আশিকুজ্জামান ১৯৯৬ সালে অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার পদবি নন-ক্যাডার, বি আই ডব্লিউ টি সি তে পাঁচটি পদে সরাসরি প্রশাসন ক্যাডারের লোকেরা পদায়ন পাবার কথা।
এই পাঁচটি পদ হচ্ছে
১. চেয়ারম্যান ২. পরিচালক অর্থ ৩. পরিচালক প্রশাসন ৪. পরিচালক কারিগরি ৫. পরিচালক বাণিজ্য। কিন্তু রহস্যজনক কারনে পরিচালক বানিজ্যের পদটি নন-ক্যাডার করা হয়। জানা যায়, শুধূমাত্র দুর্নীীতর করার জন্য মন্ত্রী ও সচিবদের সাথে পরস্পর যোগসাজশ করে পরিচালক বাণিজ্যকে নিজেদের থেকে নিয়োগ বিধি সংশোধন আলাদা করে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই জন্য মন্ত্রণালয়ের কে কোটি কোটি টাকা ঘুষ প্রদান করা হয়। এর ধারাবাহিকতার মধ্যে এখন আশিকুজ্জামান রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আয়ের প্রধান উৎস বাণিজ্য বিভাগ। এই বিভাগের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলি হয় ন্যূনতম ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে। অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে সেখানে সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। যাতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা যায়।
বিআইডব্লিউটিসিতে রয়েছে বেশ কিছু পদ। এই সকল পদে লিখিত পরীক্ষা দেয়ার নিয়ম থাকলেও আশিকুজ্জামান ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৌশলে নিজেদের আত্মীয়-স্বজন থেকে বিশ্বস্ত লোকদের নিয়োগ প্রদানে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে বলে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। তবে কোন কিছু হয় না বলে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা লাগামহীনভাবে চলছে। নিজেদের পছন্দের মধ্যে চেয়ারম্যান নিয়োগ দানে তৎপর থাকে যাতে দুর্নীতি করলেও পার পাওয়া যায়।
কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান ও নিম্নমান সহকারী অফিসার সহব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপক সহ মহাব্যবস্থাপক, উপমহাব্যবস্থাপক নৈশপ্রহরী, পিয়ন, লস্কর, সুইপার (পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকর্মী) গ্রীজার ৬০০ থেকে ৭০০ চাকরি করে মাস্টাররোলে এদেরকে অস্থায়ীভাবে চাকুরী দিয়ে জনপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে। টাকার বিনিময়ে প্রতিবছর কিছু পদ স্থায়ী হয়। যাদের টাকার জোর নেই তারা খুব কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করে। ১৩০ টি এর মত ফেরি ১৬০ টির মত পন্টুন রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়াও জাহাজ বানাচ্ছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। চার্টার জাহাজ ভাড়া দিয়ে এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ১৩০ টার মতো জাহাজ রয়েছে।
উপকূলীয় ও সেন্টমার্টিন হাতিয়া ভোলা তজুমদ্দিন চেয়ারম্যান ঘাটগুলোতে জাহাজ গুলো চলাচল করে এসব জাহাজের প্রচুর তেলের অপচয় হয়। বিআইডব্লিউটিতে যারা চাকরি করে এবং করছে তারা সকলেই কম বেশি কোটি কোটি টাকার মালিক। ঢাকায় তাদের বাড়ি গাড়ি জমি জমা সব রয়েছে। আশিকুজ্জামান-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ থাকার পরেও হালে পানি পাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় এদের রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।