ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর সহ্য করব না, এবার জবাব দেব: মির্জা আব্বাস

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১২:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • / ১০০ Time View

আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অত্যাচার অনেক সহ্য করেছি এবার জবাব দেব। আর সহ্য করব না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আব্দুল্লাহপুর থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমরা কথা বলার অধিকার আদায় করব। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা যে অত্যাচারের শিকার হয়েছি তার জবাব অধিকার আদায়ের মাধ্যমে দেব। আপনারা শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছেন। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি। গতকালও নোয়াখালীতে আমাদের লোক মেরেছেন, লক্ষ্মীপুরে লোক মেরেছেন।

আব্বাস আরও বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি, জেল খাটতে শিখেছি। মৃত্যুবরণ করতে শিখেছি। মিছিল করতে শিখেছি। আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না। এবার অত্যাচারের জবাব দেব।

তিনি বলেন, বাধা অতিক্রম করেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এক দফা এক দাবি, এই প্রত্যয়ের পদযাত্রার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। আমরাও সংবিধানের বাইরে যাব না। কিন্তু সে সংবিধান হবে বাংলাদেশের সংবিধান, খায়রুল হকের সংবিধান না। যে সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়নি, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই।

সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করব। দেশের মানুষকে বিএনপি আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media

আর সহ্য করব না, এবার জবাব দেব: মির্জা আব্বাস

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১২:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অত্যাচার অনেক সহ্য করেছি এবার জবাব দেব। আর সহ্য করব না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ, আর কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আব্দুল্লাহপুর থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দেশ আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে। আমরা কথা বলার অধিকার আদায় করব। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা যে অত্যাচারের শিকার হয়েছি তার জবাব অধিকার আদায়ের মাধ্যমে দেব। আপনারা শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছেন। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি। গতকালও নোয়াখালীতে আমাদের লোক মেরেছেন, লক্ষ্মীপুরে লোক মেরেছেন।

আব্বাস আরও বলেন, দেশের মানুষ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করেছি, জেল খাটতে শিখেছি। মৃত্যুবরণ করতে শিখেছি। মিছিল করতে শিখেছি। আর আপনাদের অত্যাচার সহ্য করব না। এবার অত্যাচারের জবাব দেব।

তিনি বলেন, বাধা অতিক্রম করেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এক দফা এক দাবি, এই প্রত্যয়ের পদযাত্রার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। আমরাও সংবিধানের বাইরে যাব না। কিন্তু সে সংবিধান হবে বাংলাদেশের সংবিধান, খায়রুল হকের সংবিধান না। যে সংবিধানে কাটাছেঁড়া করা হয়নি, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচন চাই।

সমাবেশ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠাতা করব। দেশের মানুষকে বিএনপি আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।