ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোদীর বৈঠকের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা

আর একটি জঙ্গি হামলা হলেই সরাসরি যুদ্ধে নামবে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / ২১ Time View

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পরই ভারতের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে দেশের উপর যে কোনও জঙ্গি হামলাকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা পাঠাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান বহু বছর ধরেই ভারতবিরোধী নানা জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে, এমন অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার সকালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা প্রধান (CDS) ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।

এর আগেই, পাকিস্তান ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর পর ভারত শনিবার ভোররাতে পাকিস্তানের চারটি বিমানঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ড্রোন হামলার বেশিরভাগ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিকে সুরক্ষিত রাখে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, পাকিস্তান থেকে ছোঁড়া অন্তত ৮টি মিসাইল ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে প্রতিরোধ করে, যেগুলি জম্মুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বিমানবন্দরের দিকে ছোঁড়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “যদি ভারত নতুন করে কোনও হামলা না চালায়, তবে পাকিস্তান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে পারে। কিন্তু ভারত যদি আবারও হামলা চালায়, আমাদের জবাবও তার উপযুক্ত হবে।” এই মন্তব্যের আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

এই সংঘাতের সূচনা হয় এপ্রিল ২২-এ পহেলগামে ঘটে যাওয়া এক জঙ্গি হামলার পর, যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিদের যোগ ছিল। তার পাল্টা জবাব হিসেবেই ভারত ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালায় পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির উপর।

Please Share This Post in Your Social Media

মোদীর বৈঠকের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা

আর একটি জঙ্গি হামলা হলেই সরাসরি যুদ্ধে নামবে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৫:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পরই ভারতের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে দেশের উপর যে কোনও জঙ্গি হামলাকে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা পাঠাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান বহু বছর ধরেই ভারতবিরোধী নানা জঙ্গি গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে, এমন অভিযোগ রয়েছে।

শনিবার সকালে, প্রধানমন্ত্রী মোদী দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রতিরক্ষা প্রধান (CDS) ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।

এর আগেই, পাকিস্তান ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর পর ভারত শনিবার ভোররাতে পাকিস্তানের চারটি বিমানঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ড্রোন হামলার বেশিরভাগ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিকে সুরক্ষিত রাখে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, পাকিস্তান থেকে ছোঁড়া অন্তত ৮টি মিসাইল ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে প্রতিরোধ করে, যেগুলি জম্মুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বিমানবন্দরের দিকে ছোঁড়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “যদি ভারত নতুন করে কোনও হামলা না চালায়, তবে পাকিস্তান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে পারে। কিন্তু ভারত যদি আবারও হামলা চালায়, আমাদের জবাবও তার উপযুক্ত হবে।” এই মন্তব্যের আগে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

এই সংঘাতের সূচনা হয় এপ্রিল ২২-এ পহেলগামে ঘটে যাওয়া এক জঙ্গি হামলার পর, যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিদের যোগ ছিল। তার পাল্টা জবাব হিসেবেই ভারত ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ চালায় পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটির উপর।