ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
হত্যা চেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম কাটতে এসে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাজেট বরাদ্দে জবি পূর্বের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে – ইউজিসি চেয়ারম্যান রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল

আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার: ওবায়দুল কাদের

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৭ Time View

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ক্ষত সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়েছে জনগণ। ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমরা দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা কারও অগণতান্ত্রিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকেনি। আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে জনগণ সাড়া দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজপথের জবাব রাজপথেই দেবে আওয়ামী লীগ। অগণতান্ত্রিক আচরণ করলে সরকার বিএনপির হুমকি-ধামকিতে মানুষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এ দিনটিকে ঘিরে যারা কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে, নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য তাদের দলীয় অফিস আগামী ৫ বছর কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। তাদের নেতাদের বাড়িঘরও কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে, সেজন্য তাদের পস্তাতে হবে। বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না বলে মত প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের বিরুদ্ধে আমরা নই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। এই শহরে অনেক সমাবেশ হয়েছে, আমরা সংঘাতে যাইনি। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশকে উস্কে দিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে। অপকর্ম করে সেদিন নয়া পল্টন থেকে তারা পালিয়ে যায়। অথচ তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনেক কিছু সহ্য করেছি। আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করিনি। কোনো অপশক্তিকে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস-সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি।কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই।জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এই কালো পতাকাবাহী অপশক্তিকে প্রতিহত করবো। এসময় বিএনপির সাথে কোনো আপস না করার ঘোষণাও দেন তিনি। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস-সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশে-বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের উদ্দেশে তিনি বলেন, মঈন খান সাহেবদের দল ’৭৫-র বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে তারপর ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার: ওবায়দুল কাদের

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৫:১৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ক্ষত সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্রে সফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে ৪১ ভাগেরও বেশি ভোট দিয়েছে জনগণ। ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আমরা দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ, তারা কারও অগণতান্ত্রিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে থাকেনি। আওয়ামী লীগের অঙ্গীকারে জনগণ সাড়া দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাজপথের জবাব রাজপথেই দেবে আওয়ামী লীগ। অগণতান্ত্রিক আচরণ করলে সরকার বিএনপির হুমকি-ধামকিতে মানুষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এ দিনটিকে ঘিরে যারা কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে, নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্য তাদের দলীয় অফিস আগামী ৫ বছর কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। তাদের নেতাদের বাড়িঘরও কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে, সেজন্য তাদের পস্তাতে হবে। বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়ে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না বলে মত প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাস করে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের বিরুদ্ধে আমরা নই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। এই শহরে অনেক সমাবেশ হয়েছে, আমরা সংঘাতে যাইনি। ২৮ অক্টোবর বিএনপি পুলিশকে উস্কে দিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে। অপকর্ম করে সেদিন নয়া পল্টন থেকে তারা পালিয়ে যায়। অথচ তারা বলেছিল, আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনেক কিছু সহ্য করেছি। আক্রান্ত হয়েও আক্রমণ করিনি। কোনো অপশক্তিকে দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস-সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি।কোনো অপকর্মের সুযোগ নেই।জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এই কালো পতাকাবাহী অপশক্তিকে প্রতিহত করবো। এসময় বিএনপির সাথে কোনো আপস না করার ঘোষণাও দেন তিনি। কালো পতাকার নামে আবার সন্ত্রাস-সহিংসতার আভাস দিচ্ছে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস ডিঙিয়ে তারা (বিএনপি) যে বিকৃত তথ্য বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশে-বিদেশে সসম্মানে উচ্চারিত একটি নাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের উদ্দেশে তিনি বলেন, মঈন খান সাহেবদের দল ’৭৫-র বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে তারপর ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঈন খানকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।