অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম একটা ব্যর্থতা হচ্ছে, তারা এই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে সরাসরি ভাবে সম্পৃক্ত যে ব্যক্তিরা ছিল তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারেনি। বরং তারা এখন ধীরে ধীরে পুনর্বাসিত হচ্ছে। আপনি যখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, তারা এখনো তাদের পদে রয়েছেন। তার মানে অলরেডি পুনর্বাসিত রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই লড়াইটা দীর্ঘ এবং চালিয়ে যেতে হবে। আমরা অনুরোধ করবো সকল রাজনৈতিক দলকে এমনকি এনসিপিও এটার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আমরা যখন এটা বলি তখন অনেকে বিএনপি এবং জামায়াতের মনে করে। আমি মনে করি সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এটা তাদের জায়গা থেকে, যেন কোন সিস্টেমে, কোন কিছুর বিনিময়ে, কোন নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে যেন ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রশ্রয় না পেয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি, যদি এটা আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা সেফ এক্সিট বলতে যেভাবে বুঝছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। আমরা বলতে চাচ্ছি, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে যে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতন করা হয়েছে, সেই খুনি ও পতিত সরকারের রাঘববোয়ালদের বিচারের মুখোমুখি না করে যেন কেউ সেফ এক্সিট নিতে না পারে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি না দিয়ে কারও এক্সিট নেই। এই সনদ বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।’