আদিবাসী হামলার প্রতিবাদে জাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা

- Update Time : ০১:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৪৫ Time View
এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপরে ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেইনটি’ নামের একটি সংগঠন হামলা চালায়।
এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ইসাবা, জুয়েল মারাক এবং রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যাসহ আরো অনেক শিক্ষার্থী। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নকিব আল মাহমুদ অর্ণব স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। বিবৃতিতে হামলায় জড়িত সকলকে দ্রুততম সময়ে বিচারের আওতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে আহবান জানায় তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি বহু ভাষাভাষী, বহু জাতির, বহু সম্প্রদায়ের দেশ। এদেশে দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এখানকার জনমানুষের সংগ্রাম আছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইন্ডেজেনিয়াস জাতিগুলো তাদের স্বকীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করেই এদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। আমরা দেখেছি, ৭২ এর সংবিধান কিভাবে বাঙালি ব্যতীত অন্য জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছিল। আমরা সেরকম কোনো ফ্যাসিবাদী কাঠামোর বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই সম্প্রীতি, আস্থা আর সহাবস্থানের বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের সকলের মিলেমিশে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে যারা আইনের প্রতি শ্রাদ্ধাশীল নয় তাদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। স্টুডেন্ট ফর সভারেইনটির মত যারা জাতিবাদী আধিপত্যশীল মানসিকতাকে ধারণ করে, যারা বর্ণবাদী আচরণকে সমাজের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চায়, তাদের এ রাজনীতিকে আমরা ইনসাফ বিরোধী মনে করি। সমাজে দায় ও দরদের রাজনীতি ছড়িয়ে দেবার আমাদের যে নিরন্তর সংগ্রাম তাতে এ ধরনের উগ্র জাতিবাদী আধিপত্যকে প্রশ্রয় দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে দ্রততম সময়ে এসব বর্ণবাদী আচরণের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।