ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রেফতার

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১২:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৪ Time View

আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে (৭২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, ফারুক হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফারুক হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় বলে তিনি নিজেই ফেসবুকে জানান। গত ২৮ অক্টোবর শামীম হকও নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। তাতে উল্লেখ করেন, ‘আমার নেত্রী যাকে দায়িত্ব দেবেন আমরা সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। দলের এই দুর্দিনে সবাই আমরা সভাপতি, আমরা সবাই দলের জন্য কাজ করবো।

কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেনের নামে কোতয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি করেন শহরতলির মামুদপুর এলাকার মুজাহিদ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ -৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ধ্যায় ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। তার নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেফতারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্রেফতার

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১২:০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে (৭২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা যায়, ফারুক হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফারুক হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় বলে তিনি নিজেই ফেসবুকে জানান। গত ২৮ অক্টোবর শামীম হকও নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। তাতে উল্লেখ করেন, ‘আমার নেত্রী যাকে দায়িত্ব দেবেন আমরা সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। দলের এই দুর্দিনে সবাই আমরা সভাপতি, আমরা সবাই দলের জন্য কাজ করবো।

কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেনের নামে কোতয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি করেন শহরতলির মামুদপুর এলাকার মুজাহিদ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ -৪০০ জনকে আসামি করা হয়।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ধ্যায় ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। তার নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেফতারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।