ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০১:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩২ Time View

রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকেন—‘গোপালগঞ্জের গোলাপি আর কতকাল জ্বালাবি’।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তারা গুলিস্তানে সমবেত হয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তবে এ আগুনের ঘটনার খবর পায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

জানা গেছে, আগুন তেমন বড় নয়, কিছু ব্যানার ও ময়লার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকেন—‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গোপালগঞ্জের গোলাপি আর কতকাল জ্বালাবি’, ‘যুবলীগের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’।

এর আগে শেখ হাসিনার বিচারকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করতে রাজধানীর গুলিস্তানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। ব্যানারের নিচে নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ভবনটি কিছুদিন পরিত্যক্ত থাকার পর সেখানে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিরা।

আজ বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

এ মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এদিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।
আলোচিত এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০১:৫৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকেন—‘গোপালগঞ্জের গোলাপি আর কতকাল জ্বালাবি’।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে তারা গুলিস্তানে সমবেত হয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তবে এ আগুনের ঘটনার খবর পায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

জানা গেছে, আগুন তেমন বড় নয়, কিছু ব্যানার ও ময়লার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে থাকেন—‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘গোপালগঞ্জের গোলাপি আর কতকাল জ্বালাবি’, ‘যুবলীগের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’।

এর আগে শেখ হাসিনার বিচারকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করতে রাজধানীর গুলিস্তানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ব্যানার ঝুলতে দেখা যায়। ব্যানারের নিচে নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে লাঠি হাতে অবস্থান নিয়েছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ভবনটি কিছুদিন পরিত্যক্ত থাকার পর সেখানে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিরা।

আজ বৃহস্পতিবার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

উল্লেখ্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

এ মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এদিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যরা।
আলোচিত এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার-ভিডিপির সদস্যরা।