ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কারণে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • / ৪০ Time View

আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের কারণেই ভারত থেকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ আজও বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৬ মে ’ফারাক্কা দিবস’। আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় দিন। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐ এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা তীব্র আকাার ধারণ করেছে। জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে এখনও পর্যন্ত চালু থাকায় সেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।

তিনি বলেন, এই বঞ্চনা ও দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জন দুর্দশার আশঙ্কায় বিজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জনগণকে সাথে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনেন। তখন থেকে ব্যাপক মানব বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।

আন্তর্জাতিক আইনকানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ নিষ্ফলা ঊষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি উপেক্ষা করে পানি প্রত্যাহার করছে, যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। বর্তমান সরকার জনগণের এই সংকট নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে বলেন, ১৬ মে শুধু একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি একটি প্রতিরোধের প্রতীক। ফারাক্কা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়- ন্যায্য অধিকার কখনও অনুনয়ে পাওয়া যায় না, সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করতে হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আওয়ামী লীগের কারণে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশ

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৬:০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের কারণেই ভারত থেকে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ আজও বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১৬ মে ’ফারাক্কা দিবস’। আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যময় দিন। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐ এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা তীব্র আকাার ধারণ করেছে। জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে এখনও পর্যন্ত চালু থাকায় সেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত।

তিনি বলেন, এই বঞ্চনা ও দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জন দুর্দশার আশঙ্কায় বিজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জনগণকে সাথে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনেন। তখন থেকে ব্যাপক মানব বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।

আন্তর্জাতিক আইনকানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকূলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ নিষ্ফলা ঊষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি উপেক্ষা করে পানি প্রত্যাহার করছে, যা বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। বর্তমান সরকার জনগণের এই সংকট নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে বলেন, ১৬ মে শুধু একটি স্মরণীয় দিন নয়, এটি একটি প্রতিরোধের প্রতীক। ফারাক্কা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়- ন্যায্য অধিকার কখনও অনুনয়ে পাওয়া যায় না, সংগ্রামের মাধ্যমে আদায় করতে হয়।