ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অশালীন’ ছবি প্রকাশ : মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৭০ Time View

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শেহরীন আমিন ভুইয়া ওরফে মোনামি। ছবি: সংগৃহীত

ছবি বিকৃত করে ‘অশালীনভাবে’ উপস্থাপন করার অভিযোগে সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে এ মামলা করেন। ডাকসুর সদস্যরা এসময় ঐ শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলেন।

লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং আশফাক হোসাইন ইভান নামের এক ব্যক্তি আসামির তালিকায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্যোশাল মিডিয়ায় নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

জাকারিয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম ঝুমা।

তিনি লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।

জাকারিয়া জানান, ডিবির সাইবার ইউনিট আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন পরবর্তীতে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী ছবি বা ভিডিও বিকৃত করাসহ যেকোনো সাইবার বুলিং এর স্বীকার হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা ব্যবস্থা নিবে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাদীর ছবি অশালীনভাবে সম্পাদন করে ফেইসবুকে পোস্ট করেন আসামি মুজতবা খন্দকার। তিনি ক্যাপশন দেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি’।

আরেক আসামি লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন, যেখানে বাদীকে ‘যৌন-কল্পনার রসদ’বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয় বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

তৃতীয় নম্বর আসামি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ পোর্টালের একটি ফেইসবুক পোস্টে বাদীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আরেক আসামি আশফাক হোসাইন ইভান তার ফেইসবুক পোস্টে সম্পাদন করা বাদীর অশালীন ছবি পোস্ট করেন। এসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে অনেকেই হেনস্তা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহারে চার আসামির ফেইসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে মোনামী বলেন, “ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

তিনি বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।”

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, “ছবি এডিট করে সাইবার বুলিং করার অভিযোগে মামলা করেছেন মোনামী ম্যাম। এখন আমরা আমাদের যে আইনগত প্রক্রিয়া আছে, তা অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেব।”

Please Share This Post in Your Social Media

‘অশালীন’ ছবি প্রকাশ : মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

ছবি বিকৃত করে ‘অশালীনভাবে’ উপস্থাপন করার অভিযোগে সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে এ মামলা করেন। ডাকসুর সদস্যরা এসময় ঐ শিক্ষিকার সঙ্গে ছিলেন।

লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন এবং আশফাক হোসাইন ইভান নামের এক ব্যক্তি আসামির তালিকায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্যোশাল মিডিয়ায় নিশ্চিত করেছেন ডাকসুর আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

জাকারিয়া এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, শেহরীন আমিন ভুইয়া ম্যাম তার ছবি এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করেছেন। আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আমি সার্বিক সহায়তা করেছি। উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম ঝুমা।

তিনি লিখেছেন, অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি ডিবির সাইবার ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

যারা পোস্ট করেছেন, অশালীন মন্তব্য করেছেন, পোস্ট শেয়ার করেছেন এবং পরবর্তীতেও যারা এভাবে ছবি বিকৃত করে প্রচার করবে সবাইকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে ইনশাআল্লাহ।

জাকারিয়া জানান, ডিবির সাইবার ইউনিট আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন পরবর্তীতে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী ছবি বা ভিডিও বিকৃত করাসহ যেকোনো সাইবার বুলিং এর স্বীকার হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা ব্যবস্থা নিবে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, বাদীর ছবি অশালীনভাবে সম্পাদন করে ফেইসবুকে পোস্ট করেন আসামি মুজতবা খন্দকার। তিনি ক্যাপশন দেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি’।

আরেক আসামি লেখক মহিউদ্দিন মোহাম্মদ একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন, যেখানে বাদীকে ‘যৌন-কল্পনার রসদ’বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করা হয় বলে এজাহারে বলা হয়েছে।

তৃতীয় নম্বর আসামি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ পোর্টালের একটি ফেইসবুক পোস্টে বাদীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আরেক আসামি আশফাক হোসাইন ইভান তার ফেইসবুক পোস্টে সম্পাদন করা বাদীর অশালীন ছবি পোস্ট করেন। এসব ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে অনেকেই হেনস্তা করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এজাহারে চার আসামির ফেইসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রিনশট যুক্ত করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে মোনামী বলেন, “ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।

তিনি বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।”

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, “ছবি এডিট করে সাইবার বুলিং করার অভিযোগে মামলা করেছেন মোনামী ম্যাম। এখন আমরা আমাদের যে আইনগত প্রক্রিয়া আছে, তা অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেব।”