অল্প সময়ে এত দাবি করলে কিভাবে করব: পরিবেশ উপদেষ্টা

- Update Time : ০৯:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / ৫১ Time View
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘স্থানীয় জনগণ তিস্তা নদী তীরে স্থায়ী বাঁধের দাবি করছেন। একটা দেড় বছরের সরকারের কাছে অল্প সময়ে এত দাবি করলে আমরা কিভাবে করব। তিস্তা আমাদের নদী। ভাটির দেশ হিসেবে তিস্তা নদীর ওপর আমাদের অধিকার আছে। আমাদের স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই তিস্তা নদী কিভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি তার জন্য আমরা তিস্তার পাঁচটি স্থানে গণশুনানি করেছি।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন তিস্তা নদী তীর রক্ষায় চলমান কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে স্বাক্ষর হয়েছিল; কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ বেশিদূর আগায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আবারও তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন সরকারের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে আমাদের পক্ষে চূড়ান্ত ডিজাইন শেষ হবে। এরপর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে সেগুলো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দরকষাকষি হবে। এরপর তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ১৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার অতি-ভাঙনপ্রবণ এলাকায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নতুন করে কোথাও ভাঙন দেখা দিলে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ে চলমান কাজ পরিদর্শনে এলে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ফুলের চারাগাছ উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরে তিনি তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় চলমান কাজ (জিওব্যাগ) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি তিস্তাপাড়ের নদী ভাঙা নারী ও পুরুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি তিস্তাপাড়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মোজাহিদ ও স্থানীয় তিস্তা নদীপাড়ের হাজার হাজার জনগণ উপস্থিত ছিলেন।