ঢাকা ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন তানজিন তিশা

বিনোদন ডেস্ক
  • Update Time : ১০:১৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩ Time View

পুরনো ছবি

অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে একটি ফ্যাশন হাউস বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভারতীয় একজন প্রযোজক তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। মাস তিনেক আগে ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার মরশুম’–এ অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিশা। কিন্তু শিডিউল মেলাতে না পারায় এবং ভিসা–জটিলতায় ছবিটির কাজ করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। ছবির প্রযোজক সরিফুল ধাবক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় যে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তানজিন তিশার বিরুদ্ধে।

অক্টোবরে শুটিং শুরুর কথা ছিল ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবির। জুলাইয়ে প্রযোজক সরিফুল ধাবক, পরিচালক এম এন রাজ ও অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশার মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একটা সময় জানা যায়, তিশা দেশের আরেকটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘সোলজার’ নামে সাকিব ফাহাদ পরিচালিত সেই ছবির শুটিং শুরু হয় অক্টোবরে। এতে করে দুটি ছবির নিয়ে শিডিউল–জটিলতায় পড়েন তানজিন তিশা।

এদিকে ভারতীয় প্রযোজক–পরিচালকও ছবিটি নিয়ে আর বসে থাকতে চাইছিলেন না। তাই একটা সময় জানা যায়, ‘সোলজার’ ছবির কারণে ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবিটি ছেড়ে দেন তিশা। অন্যদিকে পরিচালক এম এন রাজ সুস্মিতা চ্যাটার্জিকে নিয়ে শুটিং শুরু করেন। ঘটনা সেখানে থেমে গেলে হতো, কিন্তু ভারতীয় প্রযোজক ছবি বাবদ তিশাকে অগ্রিম যে টাকা দিয়েছিলেন, তা ফেরতের জন্য যোগাযোগ করেন। তখন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের সময় নেওয়া টাকা তিশা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীর মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশি ১১ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। চুক্তিপত্রের সময় তিনি দুই দফায় ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা নেন। বাকি টাকা শুটিং ও ডাবিংয়ের সময় নেওয়ার কথা ছিল।

প্রযোজক জানান, ‘তিশা যেহেতু ছবিটি করতে পারছেন না, আমাদের টাকাটা ফেরত দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু তিনি এটা না করে টালবাহানা করছেন। কোনো যোগাযোগও করছেন না। ফোন করলে ধরছেন না, আবার টেক্সটের উত্তরও দিচ্ছেন না।’

টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তানজিন তিশা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে পাঠানো অডিও বার্তায় তিশার বক্তব্যটা ছিল এ রকম, ‘এসব ফালতু কথা। আমাকে এক–তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেওয়া হয়। তাঁর সিনেমার ভিসা হওয়ার জন্য আমি প্রায় দেড় মাস কোনো কাজ করিনি। আমাদের চুক্তিপত্রে লেখা ছিল, এ রকম কিছু যদি ঘটে, এক–তৃতীয়াংশ পেমেন্ট ফেরত দেওয়া হবে না। সরিফ যে বলছে আমাকে ফোন করেছে, আমি নীরব হয়ে আছি; এসব ফালতু কথা। প্রথম যখন কথা হয়েছে, সে আমার সঙ্গে রাত দুইটার সময় কথা বলতে চেয়েছে। আমি রাত দুইটার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা বলিনি। আমার এটা মনে আছে, দিনের বেলা তাকে টেক্সট করেছি। সরিফ যে প্রযোজক বলছে নিজেকে, সে তো কোনো প্রযোজকই না। আমি জানি বাংলাদেশ থেকে একজন প্রযোজক থাকবেন, তাঁর নামটা এখন না বলি। আমি আন্তরিক দুঃখিত, তার (সরিফ) ধান্দাই আসলে ঠিক নেই।’

তিশার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজক সরিফুল ধাবক বলেন, ‘আমি প্রযোজক কি না, এটা চুক্তিপত্র দেখলেই তো বোঝা যাবে। চুক্তিপত্রে তিনিও স্বাক্ষর করেছেন, আমি ও পরিচালকও করেছি। তাহলে কীভাবে বলেন আমি প্রযোজক না!’

তানজিন তিশার দেড় মাস শিডিউল নষ্ট করা প্রসঙ্গে প্রযোজক বলেন, ‘আমরা কিন্তু ভিসার জন্য দুবার ডেট নিয়েছিলাম। কিন্তু তিশা তখন আমাদের না বলেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করি। তখন তিনি আমাকে অডিও মেসেজ পাঠান। সেখানে আমাকে অনুরোধ করেন, তিনিই ভিসা করিয়ে নেবেন, যে করেই হোক। তিনি ছবিটা করবেন। আমরা যখন প্রস্তুতির একদম শেষ পর্যায়ে, তিনি হঠাৎ জানান, ছবিটি করতে পারবেন না!’

তানজিন তিশার দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে দিয়ে ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবির প্রযোজক সরিফুল ধাবক বলেন, ‘শুনলাম তিনি বলছেন, গভীর রাতে তাঁকে ফোন করেছি! তাঁকে তো আসলে দিনের বেলা ফোনেই পাওয়া যেত না। তিনি রাতে ফোন করতেন, টেক্সট করতেন, আমাদের দিক থেকেও ছবির ব্যাপারে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে সেভাবেই কথা হতো।’

অভিনেত্রী তানজিন তিশা

প্রযোজক সরিফুল ধাবক জানান, তাঁর সঙ্গে তানজিন তিশার সর্বশেষ কথা হয় ২ অক্টোবর। সেদিন হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো অডিও বার্তায় তিশা যা বলেছেন, তা হচ্ছে, ‘আমি তোমার এই ছবিটার ব্যাপারে অনেক বেশি আন্তরিক। আমি কাজটা করতে চাই। আমাদের ছবিটা (ভালোবাসার মরশুম) যেহেতু পেছানো হচ্ছে, শাকিব খানের সঙ্গে আমার ছবিটি (সোলজার) পেছানো সম্ভব না। আমি অক্টোবরের ২৫ তারিখের মধ্যে ঢাকার ছবিটা শেষ করে ফেলব। আমার ভারতীয় ভিসা হবেই। ওদের ছবিরও (সোলজার) গানের শুটিং ভারতে হবে। তাই আজ অথবা কাল আমার ভারতের ভিসা হচ্ছে। আমার অনুরোধ, তুমি আর কিছুদিন ডেটটা পেছাও, সবাইকে বোঝাও, বোঝানোর চেষ্টা করো। আমার হাতে ভিসা এত দিন ছিল না। যেহেতু আমি পরপর দুটো সিনেমায় সাইন করেছি, এই সিনেমা (সোলজার) পেছানোর সুযোগ নেই। আমাদের দেশের এটা দেশপ্রেমের ছবি, ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে, তাই এটা আমি পেছাতে পারব না। তা না হলে “ভালোবাসার মরশুম” আমাকে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা যেহেতু দেরি করেছি, আর ২০টা দিন দেরি করি দাদা। আমি তোমাকে ওয়াদা করছি, আমার ভিসা আমি নিজে করছি, যেভাবেই হোক। আমি ছবিটা করতে চাই। এখন যেহেতু আমার জন্য ছবির ডেটটা ওরা এগিয়ে এনেছে, তাই অনেক ধরনের ব্যস্ততার মধ্যে আছি আমি। অভিনয়ের ক্লাস করছি, নিজের প্রস্তুতি আছে, জিমসহ সবই করতে হচ্ছে। আমি আশা করব, তুমি আমার পরিস্থিতি বুঝতে পারছ, টিমকেও তুমি বোঝাও।’

Please Share This Post in Your Social Media

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যা বললেন তানজিন তিশা

বিনোদন ডেস্ক
Update Time : ১০:১৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে একটি ফ্যাশন হাউস বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভারতীয় একজন প্রযোজক তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন। মাস তিনেক আগে ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসার মরশুম’–এ অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিশা। কিন্তু শিডিউল মেলাতে না পারায় এবং ভিসা–জটিলতায় ছবিটির কাজ করতে পারেননি এই অভিনেত্রী। ছবির প্রযোজক সরিফুল ধাবক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় যে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তানজিন তিশার বিরুদ্ধে।

অক্টোবরে শুটিং শুরুর কথা ছিল ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবির। জুলাইয়ে প্রযোজক সরিফুল ধাবক, পরিচালক এম এন রাজ ও অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশার মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একটা সময় জানা যায়, তিশা দেশের আরেকটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘সোলজার’ নামে সাকিব ফাহাদ পরিচালিত সেই ছবির শুটিং শুরু হয় অক্টোবরে। এতে করে দুটি ছবির নিয়ে শিডিউল–জটিলতায় পড়েন তানজিন তিশা।

এদিকে ভারতীয় প্রযোজক–পরিচালকও ছবিটি নিয়ে আর বসে থাকতে চাইছিলেন না। তাই একটা সময় জানা যায়, ‘সোলজার’ ছবির কারণে ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবিটি ছেড়ে দেন তিশা। অন্যদিকে পরিচালক এম এন রাজ সুস্মিতা চ্যাটার্জিকে নিয়ে শুটিং শুরু করেন। ঘটনা সেখানে থেমে গেলে হতো, কিন্তু ভারতীয় প্রযোজক ছবি বাবদ তিশাকে অগ্রিম যে টাকা দিয়েছিলেন, তা ফেরতের জন্য যোগাযোগ করেন। তখন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের সময় নেওয়া টাকা তিশা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীর মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশি ১১ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন তানজিন তিশা। চুক্তিপত্রের সময় তিনি দুই দফায় ৪ লাখ ১২ হাজার টাকা নেন। বাকি টাকা শুটিং ও ডাবিংয়ের সময় নেওয়ার কথা ছিল।

প্রযোজক জানান, ‘তিশা যেহেতু ছবিটি করতে পারছেন না, আমাদের টাকাটা ফেরত দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু তিনি এটা না করে টালবাহানা করছেন। কোনো যোগাযোগও করছেন না। ফোন করলে ধরছেন না, আবার টেক্সটের উত্তরও দিচ্ছেন না।’

টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তানজিন তিশা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে পাঠানো অডিও বার্তায় তিশার বক্তব্যটা ছিল এ রকম, ‘এসব ফালতু কথা। আমাকে এক–তৃতীয়াংশ পেমেন্ট দেওয়া হয়। তাঁর সিনেমার ভিসা হওয়ার জন্য আমি প্রায় দেড় মাস কোনো কাজ করিনি। আমাদের চুক্তিপত্রে লেখা ছিল, এ রকম কিছু যদি ঘটে, এক–তৃতীয়াংশ পেমেন্ট ফেরত দেওয়া হবে না। সরিফ যে বলছে আমাকে ফোন করেছে, আমি নীরব হয়ে আছি; এসব ফালতু কথা। প্রথম যখন কথা হয়েছে, সে আমার সঙ্গে রাত দুইটার সময় কথা বলতে চেয়েছে। আমি রাত দুইটার সময় তার সঙ্গে ফোনে কথা বলিনি। আমার এটা মনে আছে, দিনের বেলা তাকে টেক্সট করেছি। সরিফ যে প্রযোজক বলছে নিজেকে, সে তো কোনো প্রযোজকই না। আমি জানি বাংলাদেশ থেকে একজন প্রযোজক থাকবেন, তাঁর নামটা এখন না বলি। আমি আন্তরিক দুঃখিত, তার (সরিফ) ধান্দাই আসলে ঠিক নেই।’

তিশার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজক সরিফুল ধাবক বলেন, ‘আমি প্রযোজক কি না, এটা চুক্তিপত্র দেখলেই তো বোঝা যাবে। চুক্তিপত্রে তিনিও স্বাক্ষর করেছেন, আমি ও পরিচালকও করেছি। তাহলে কীভাবে বলেন আমি প্রযোজক না!’

তানজিন তিশার দেড় মাস শিডিউল নষ্ট করা প্রসঙ্গে প্রযোজক বলেন, ‘আমরা কিন্তু ভিসার জন্য দুবার ডেট নিয়েছিলাম। কিন্তু তিশা তখন আমাদের না বলেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করি। তখন তিনি আমাকে অডিও মেসেজ পাঠান। সেখানে আমাকে অনুরোধ করেন, তিনিই ভিসা করিয়ে নেবেন, যে করেই হোক। তিনি ছবিটা করবেন। আমরা যখন প্রস্তুতির একদম শেষ পর্যায়ে, তিনি হঠাৎ জানান, ছবিটি করতে পারবেন না!’

তানজিন তিশার দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে দিয়ে ‘ভালোবাসার মরশুম’ ছবির প্রযোজক সরিফুল ধাবক বলেন, ‘শুনলাম তিনি বলছেন, গভীর রাতে তাঁকে ফোন করেছি! তাঁকে তো আসলে দিনের বেলা ফোনেই পাওয়া যেত না। তিনি রাতে ফোন করতেন, টেক্সট করতেন, আমাদের দিক থেকেও ছবির ব্যাপারে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে সেভাবেই কথা হতো।’

অভিনেত্রী তানজিন তিশা

প্রযোজক সরিফুল ধাবক জানান, তাঁর সঙ্গে তানজিন তিশার সর্বশেষ কথা হয় ২ অক্টোবর। সেদিন হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো অডিও বার্তায় তিশা যা বলেছেন, তা হচ্ছে, ‘আমি তোমার এই ছবিটার ব্যাপারে অনেক বেশি আন্তরিক। আমি কাজটা করতে চাই। আমাদের ছবিটা (ভালোবাসার মরশুম) যেহেতু পেছানো হচ্ছে, শাকিব খানের সঙ্গে আমার ছবিটি (সোলজার) পেছানো সম্ভব না। আমি অক্টোবরের ২৫ তারিখের মধ্যে ঢাকার ছবিটা শেষ করে ফেলব। আমার ভারতীয় ভিসা হবেই। ওদের ছবিরও (সোলজার) গানের শুটিং ভারতে হবে। তাই আজ অথবা কাল আমার ভারতের ভিসা হচ্ছে। আমার অনুরোধ, তুমি আর কিছুদিন ডেটটা পেছাও, সবাইকে বোঝাও, বোঝানোর চেষ্টা করো। আমার হাতে ভিসা এত দিন ছিল না। যেহেতু আমি পরপর দুটো সিনেমায় সাইন করেছি, এই সিনেমা (সোলজার) পেছানোর সুযোগ নেই। আমাদের দেশের এটা দেশপ্রেমের ছবি, ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে, তাই এটা আমি পেছাতে পারব না। তা না হলে “ভালোবাসার মরশুম” আমাকে ছেড়ে দিতে হবে। আমরা যেহেতু দেরি করেছি, আর ২০টা দিন দেরি করি দাদা। আমি তোমাকে ওয়াদা করছি, আমার ভিসা আমি নিজে করছি, যেভাবেই হোক। আমি ছবিটা করতে চাই। এখন যেহেতু আমার জন্য ছবির ডেটটা ওরা এগিয়ে এনেছে, তাই অনেক ধরনের ব্যস্ততার মধ্যে আছি আমি। অভিনয়ের ক্লাস করছি, নিজের প্রস্তুতি আছে, জিমসহ সবই করতে হচ্ছে। আমি আশা করব, তুমি আমার পরিস্থিতি বুঝতে পারছ, টিমকেও তুমি বোঝাও।’