ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলার রূপরেখা অঙ্কন করবে: ইসি সানাউল্লাহ আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয় আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া দাম কমিয়ে বৈধ আমদানি বাড়াতে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমছে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ : চরমোনাই পীর ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী
বলছে বেইজিং

অরুণাচলের জায়গাগুলোর নতুন নামকরণ চীনের ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ২৭০ Time View

ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা অরুণাচল প্রদেশের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করেছে চীন। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত। জবাবে বেইজিং বলছে, অরুণাচলের জায়গাগুলোর চীনা নামকরণের বিষয়টি চীনের ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান।

এর আগে গত ১১ মে চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় অরুণাচলের ২৭টি জায়গার নতুন নামকরণ করে। যারমধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, চারটি রাস্তা, দুটি নদী, একটি লেক এবং পাঁচটি বসতি এলাকা।

মূলত চীন অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ নামে ডাকে। চীনের দাবি অরুণাচল দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচলের বিভিন্ন জায়গার নতুন নামকরণ শুরু করে তারা। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ছয়টি, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে ১৫টি এবং ২০২৪ সালের মার্চে আরও ৩০টি জায়গায় নিজেদের পছন্দের নামকরণ করে তারা।

চীন বলেছে, অরুণাচল প্রদেশের (যা তারা ‘জাংনান’ বলে) বিভিন্ন জায়গার নামকরণ তারা নিজস্বভাবে চীনা নামে করেছে এবং এটি তাদের “স্বার্বভৌম সিদ্ধান্ত”। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইতিহাস, ভূগোল এবং প্রশাসনিক দিক থেকে জাংনান চীনের অংশ। তাই ওই অঞ্চলের জায়গাগুলোকে চীনা নামে ডাকা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

তবে ভারত জাংনানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং একে অরুণাচল প্রদেশ নামে চিহ্নিত করে থাকে। অন্যদিকে, চীন এই অঞ্চলটিকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে মনে করে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর চীনের এই অবস্থান ভারতীয় কূটনীতির জন্য বড় ধাক্কা। তারা বলছেন, ভারতের বর্তমান সরকার প্রতিবেশী প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে চীনের এ ধরনের অবস্থান নতুন নয় — এর আগেও বেইজিং অরুণাচলের বেশ কিছু স্থানকে চীনা ভাষায় নতুন নাম দিয়েছে এবং সেখানে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবারই এই দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পূর্বেও বলেছে, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। কৃত্রিম নামে কিছু পরিবর্তন করে বাস্তবতা বদলানো যায় না।”

ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন

Please Share This Post in Your Social Media

বলছে বেইজিং

অরুণাচলের জায়গাগুলোর নতুন নামকরণ চীনের ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৮:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা অরুণাচল প্রদেশের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করেছে চীন। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত। জবাবে বেইজিং বলছে, অরুণাচলের জায়গাগুলোর চীনা নামকরণের বিষয়টি চীনের ‘সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান।

এর আগে গত ১১ মে চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় অরুণাচলের ২৭টি জায়গার নতুন নামকরণ করে। যারমধ্যে রয়েছে ১৫টি পাহাড়, চারটি রাস্তা, দুটি নদী, একটি লেক এবং পাঁচটি বসতি এলাকা।

মূলত চীন অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ নামে ডাকে। চীনের দাবি অরুণাচল দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচলের বিভিন্ন জায়গার নতুন নামকরণ শুরু করে তারা। এরমধ্যে ২০১৭ সালে ছয়টি, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে ১৫টি এবং ২০২৪ সালের মার্চে আরও ৩০টি জায়গায় নিজেদের পছন্দের নামকরণ করে তারা।

চীন বলেছে, অরুণাচল প্রদেশের (যা তারা ‘জাংনান’ বলে) বিভিন্ন জায়গার নামকরণ তারা নিজস্বভাবে চীনা নামে করেছে এবং এটি তাদের “স্বার্বভৌম সিদ্ধান্ত”। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইতিহাস, ভূগোল এবং প্রশাসনিক দিক থেকে জাংনান চীনের অংশ। তাই ওই অঞ্চলের জায়গাগুলোকে চীনা নামে ডাকা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

তবে ভারত জাংনানকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং একে অরুণাচল প্রদেশ নামে চিহ্নিত করে থাকে। অন্যদিকে, চীন এই অঞ্চলটিকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে মনে করে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সাম্প্রতিক আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর চীনের এই অবস্থান ভারতীয় কূটনীতির জন্য বড় ধাক্কা। তারা বলছেন, ভারতের বর্তমান সরকার প্রতিবেশী প্রায় প্রতিটি দেশের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে, যা আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে চীনের এ ধরনের অবস্থান নতুন নয় — এর আগেও বেইজিং অরুণাচলের বেশ কিছু স্থানকে চীনা ভাষায় নতুন নাম দিয়েছে এবং সেখানে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিবারই এই দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পূর্বেও বলেছে, “অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। কৃত্রিম নামে কিছু পরিবর্তন করে বাস্তবতা বদলানো যায় না।”

ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন