ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে আরাভ খানের সহযোগী নুরানী পালিয়েছে

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৩ Time View

অবশেষে দুবাই পালিয়েছে বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী, বেনজির আহমেদের টাকায় দুবাইতে রাজত্বকারী আরাভ খানের সহযোগী মক্ষিরানী সর্দারনী নুরানী হায়দার।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক নওরোজ এর প্রথম পাতায় ‘ভোল পাল্টিয়ে আবার মাঠে নেমেছে দুবাই পালিয়ে যাওয়া সেই গ্রুপটি’ আরাভ খানের সহযোগী মক্ষিরানী মাফিয়া নুরানীর দম্ভ: আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে দেখে নিব’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর গত সপ্তায় নুরানী দুবাই পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য নওরোজ’র প্রকাশিত সংবাদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর হয়ে উঠে। তাকে ধরার জন্য মতিঝিলের আজিজ ভবনের ১০তম তলায় পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে আগে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর নুরানী আর তার নতুন কার্যালয়ে যাননি। সুযোগ বুঝে এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে দুবাই পাড়ি জমায়। দুবাই গিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার দুবাই ফেরতের খবরটি জানান দেয়।

ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবরটি পূনঃ মুদ্রিত করা হলো।

এক সময় অতিরিক্ত মুনাফা এবং রাতারাতি মানুষকে কোটিপতি বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে সারাদেশের সরলমনা মানুষের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাই পলাতক রাঘব-বোয়ালরা বাংলাদেশে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং বিপ্লবী সরকারের অন্য মনস্কের সুযোগে ওরা আবার এদেশে ফিরে এসেছে। তবে টাকা পাচারের মূল হোতারা নিজে না এসে তাদের চেলা-চামুন্ডা এবং মক্কেল ফাঁসানোর কাজে কিছু সুন্দরী মক্ষিরানীকে এদেশে পাঠিয়ে ভিন্ন কৌশলে পুরাতন পেশার আড়ালে ভোল পাল্টিয়ে মতিঝিলসহ গুলশান-বনানীতে আস্তানা গেড়ে বসেছে।

একসময়ের মাইওয়েভ গ্লোবালের মালিক আরিফ, যিনি ইতোপূর্বে আনজাম গ্লোবাল এর নামে মানুষ ঠকিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাই পালিয়েছে, সে এখন তার রক্ষিতা জনৈক নুরানী হায়দারকে এবার মাঠে নামিয়েছে।

এই মক্ষিরানী নুরানী হায়দার সম্প্রতি মতিঝিলে জাঁকজমক অফিস খুলে বসেছে। মতিঝিলের আজিজ ভবনের ৯ম ফ্লোরে (১০ম তলায়) এম এস নুরানী হায়দার এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে যে ব্যবসা কেন্দ্র খুলে বসেছে, তাতে দেখানো হয়েছে ট্রাভেল এবং ট্যুরিজম ব্যবসা। নুরানী নামে এই মক্ষিরানীও একসময় ধরপাকড়ের ভয়ে তার মা-বোন-ভাই ও দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই পাড়ি জমায়। বাংলাদেশের সাধারণ সরলমনা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বাগিয়ে নিয়ে দুবাইয়ে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। ঐ সময় মাইওয়েব গ্লোবাল, আনজাম গ্লোবাল, পিএলসি এবং ফরেক্স কোম্পানীতে আকাশচুম্বি মুনাফার টোপ দিয়ে বিনিয়োগের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে দেশে মামলা হলে হন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করে দুবাই পালিয়ে যায়। সাথে মক্ষিরানীও বাংলাদেশ ত্যাগ করে।

আলোচ্য মক্ষিরানী ঐ সময় মানুষকে মোটিভেট করার জন্য কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন নামী-দামি হোটেল বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিতেন, এমনকি করোনার সময়ও জুম মিটিং করতো বলে জানিয়েছেন তারই কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

মতিঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ৪ সেপ্টেম্বর ঘটা করে এক অনুষ্ঠানে নুরানী হায়দার এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস উদ্বোধন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরাতন পাপ মোচনের নয়া ফন্দি আটেন। তার কার্যকলাপ সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই প্রতিবেদক তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বলেন, ‘আমি দুবাইয়ের নাম করা লেডি মাফিয়া আমার সাথে লেগে কেউ পার পায়নি।

বাংলাদেশে নাকি তার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু রয়েছে। মতিঝিল থানা তার কেনা। সুতরাং রিপোর্ট করলে বুঝে করবেন। এই রিপোর্ট তৈরীতে যারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদেরকে তিনি নারী কেলেংকারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে রাখেন।’

পিএলসি আল্টিমার নামে মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশ থেকে কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় নুরানীসহ আরো অনেকের মাধ্যমে। এই হাসানের নামে মামলা রয়েছে। সে এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশে আসতে পারে না।

এই নুরানীরও দুবাইয়ের বিতর্কিত জুয়েলারী ব্যবসায়ী আরাভ খানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যার ছবি ছাপানো হলো। এই আরাভ খান বাংলাদেশে বহুল আলোচিত পুলিশ হত্যার আসামী।

দুর্ধূর্ষ এই মহিলা মাফিয়া নুরানী এখন আরাভ খান ও বিভিন্ন হলুদ সাংবাদিক এবং তার পাণি গ্রহণকারীরা পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশের কসাইখ্যাত ডিবি হারুনের সাথেও তার সখ্যতা ছিল। আর এই হারুনই তাকে বিদেশ পালাতে সহায়তা করেছিল বলে সূত্রটি জানায়।

চলবে…

Please Share This Post in Your Social Media

অবশেষে আরাভ খানের সহযোগী নুরানী পালিয়েছে

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৪:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে দুবাই পালিয়েছে বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী, বেনজির আহমেদের টাকায় দুবাইতে রাজত্বকারী আরাভ খানের সহযোগী মক্ষিরানী সর্দারনী নুরানী হায়দার।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে দৈনিক নওরোজ এর প্রথম পাতায় ‘ভোল পাল্টিয়ে আবার মাঠে নেমেছে দুবাই পালিয়ে যাওয়া সেই গ্রুপটি’ আরাভ খানের সহযোগী মক্ষিরানী মাফিয়া নুরানীর দম্ভ: আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে দেখে নিব’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর গত সপ্তায় নুরানী দুবাই পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য নওরোজ’র প্রকাশিত সংবাদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তৎপর হয়ে উঠে। তাকে ধরার জন্য মতিঝিলের আজিজ ভবনের ১০তম তলায় পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে আগে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর নুরানী আর তার নতুন কার্যালয়ে যাননি। সুযোগ বুঝে এক পর্যায়ে গত সপ্তাহে দুবাই পাড়ি জমায়। দুবাই গিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার দুবাই ফেরতের খবরটি জানান দেয়।

ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত খবরটি পূনঃ মুদ্রিত করা হলো।

এক সময় অতিরিক্ত মুনাফা এবং রাতারাতি মানুষকে কোটিপতি বানানোর স্বপ্ন দেখিয়ে সারাদেশের সরলমনা মানুষের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাই পলাতক রাঘব-বোয়ালরা বাংলাদেশে আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এবং বিপ্লবী সরকারের অন্য মনস্কের সুযোগে ওরা আবার এদেশে ফিরে এসেছে। তবে টাকা পাচারের মূল হোতারা নিজে না এসে তাদের চেলা-চামুন্ডা এবং মক্কেল ফাঁসানোর কাজে কিছু সুন্দরী মক্ষিরানীকে এদেশে পাঠিয়ে ভিন্ন কৌশলে পুরাতন পেশার আড়ালে ভোল পাল্টিয়ে মতিঝিলসহ গুলশান-বনানীতে আস্তানা গেড়ে বসেছে।

একসময়ের মাইওয়েভ গ্লোবালের মালিক আরিফ, যিনি ইতোপূর্বে আনজাম গ্লোবাল এর নামে মানুষ ঠকিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাই পালিয়েছে, সে এখন তার রক্ষিতা জনৈক নুরানী হায়দারকে এবার মাঠে নামিয়েছে।

এই মক্ষিরানী নুরানী হায়দার সম্প্রতি মতিঝিলে জাঁকজমক অফিস খুলে বসেছে। মতিঝিলের আজিজ ভবনের ৯ম ফ্লোরে (১০ম তলায়) এম এস নুরানী হায়দার এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে যে ব্যবসা কেন্দ্র খুলে বসেছে, তাতে দেখানো হয়েছে ট্রাভেল এবং ট্যুরিজম ব্যবসা। নুরানী নামে এই মক্ষিরানীও একসময় ধরপাকড়ের ভয়ে তার মা-বোন-ভাই ও দুই সন্তানকে নিয়ে দুবাই পাড়ি জমায়। বাংলাদেশের সাধারণ সরলমনা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা বাগিয়ে নিয়ে দুবাইয়ে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। ঐ সময় মাইওয়েব গ্লোবাল, আনজাম গ্লোবাল, পিএলসি এবং ফরেক্স কোম্পানীতে আকাশচুম্বি মুনাফার টোপ দিয়ে বিনিয়োগের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে দেশে মামলা হলে হন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করে দুবাই পালিয়ে যায়। সাথে মক্ষিরানীও বাংলাদেশ ত্যাগ করে।

আলোচ্য মক্ষিরানী ঐ সময় মানুষকে মোটিভেট করার জন্য কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন নামী-দামি হোটেল বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিতেন, এমনকি করোনার সময়ও জুম মিটিং করতো বলে জানিয়েছেন তারই কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সূত্র।

মতিঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ৪ সেপ্টেম্বর ঘটা করে এক অনুষ্ঠানে নুরানী হায়দার এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস উদ্বোধন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরাতন পাপ মোচনের নয়া ফন্দি আটেন। তার কার্যকলাপ সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই প্রতিবেদক তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বলেন, ‘আমি দুবাইয়ের নাম করা লেডি মাফিয়া আমার সাথে লেগে কেউ পার পায়নি।

বাংলাদেশে নাকি তার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু রয়েছে। মতিঝিল থানা তার কেনা। সুতরাং রিপোর্ট করলে বুঝে করবেন। এই রিপোর্ট তৈরীতে যারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন তাদেরকে তিনি নারী কেলেংকারী দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকিও দিয়ে রাখেন।’

পিএলসি আল্টিমার নামে মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশ থেকে কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় নুরানীসহ আরো অনেকের মাধ্যমে। এই হাসানের নামে মামলা রয়েছে। সে এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশে আসতে পারে না।

এই নুরানীরও দুবাইয়ের বিতর্কিত জুয়েলারী ব্যবসায়ী আরাভ খানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যার ছবি ছাপানো হলো। এই আরাভ খান বাংলাদেশে বহুল আলোচিত পুলিশ হত্যার আসামী।

দুর্ধূর্ষ এই মহিলা মাফিয়া নুরানী এখন আরাভ খান ও বিভিন্ন হলুদ সাংবাদিক এবং তার পাণি গ্রহণকারীরা পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশের কসাইখ্যাত ডিবি হারুনের সাথেও তার সখ্যতা ছিল। আর এই হারুনই তাকে বিদেশ পালাতে সহায়তা করেছিল বলে সূত্রটি জানায়।

চলবে…