ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে

আইন আদালত ডেস্ক
  • Update Time : ১১:১২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৮ Time View

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সশস্ত্র কিলার বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামির উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়৷ শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কৃষ্ণদাস বৈরাগী। ওইদিন আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত ৬ জুন কুষ্টিয়ার দূর্বাচারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লিপটনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। তাকে সেখানকার কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ গুম পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন গত ৩০ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, নিলুফার আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ শহীদুল বারী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শফিউল আলম ও সাজ্জাদ আহম্মেদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেলাল হোসেন কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা, চোখ বেঁধে মাথায় কালো জম টুপি পড়িয়ে অপহরণ করে। আয়নাঘরে ৩১ দিন গুম করে রাখে। মুক্তি পেতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। বেলাল হোসেন মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। বেলাল হোসেন ১০ কোটি টাকা দিয়ে মুক্তি পান।

এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার সঙ্গে এমন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আসামিদের যেন গ্রেপ্তার করা হয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে

আইন আদালত ডেস্ক
Update Time : ১১:১২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের সশস্ত্র কিলার বাহিনীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামির উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি হয়৷ শুনানি শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর কবির ওরফে লিপটনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কৃষ্ণদাস বৈরাগী। ওইদিন আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য ৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

গত ৬ জুন কুষ্টিয়ার দূর্বাচারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে লিপটনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। তাকে সেখানকার কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বাংলাদেশ গুম পরিবার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন গত ৩০ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, নিলুফার আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ শহীদুল বারী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. শফিউল আলম ও সাজ্জাদ আহম্মেদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেলাল হোসেন কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে এসবি কাউন্টারের সামনে থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা, চোখ বেঁধে মাথায় কালো জম টুপি পড়িয়ে অপহরণ করে। আয়নাঘরে ৩১ দিন গুম করে রাখে। মুক্তি পেতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। বেলাল হোসেন মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। বেলাল হোসেন ১০ কোটি টাকা দিয়ে মুক্তি পান।

এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার সঙ্গে এমন করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আসামিদের যেন গ্রেপ্তার করা হয়।’