মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ যেভাবে ঘরে বসেই করা যাবে
- Update Time : ০৪:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৭ Time View
ঢাকায় মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের ব্যবহৃত স্থায়ী কার্ড রিচার্জ করার জন্য স্টেশনে যেতে হবে এমন নয়, এখন থেকে ওই কার্ড অনলাইনেই রিচার্জ করা যাবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়।
এর ফলে স্টেশনের লাইনে না দাঁড়িয়েই ঘরে বসে বা যে কোনো জায়গা থেকেই র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস রিচার্জ করা যাবে। তবে আগের মত স্টেশন থেকেও কার্ড রিচার্জ করার ব্যবস্থা থাকছে।
‘লাইন নয়, অনলাইন-রিচার্জ এখন হাতের মুঠোয়!’ স্লোগান সামনে রেখে এ সেবার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। এই সেবা বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।
ডিটিসিএর নতুন এই ব্যবস্থায় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ যে কোনো অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রিচার্জ করা যাবে।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, “অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিচ্ছিল, যে লাইনে ধরে টিকিট কাটা, অনেক ভিড় থাকে এবং অনেক ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
“এখন সেখান থেকে তাদের জন্য আরও অত্যাধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টায় ছিলাম।”

কার্ড রিচার্জ করার জন্য ডিটিসিএর ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করে লগইন করতে হবে। এরপর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস নির্বাচন করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। কার্ডে ১০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে। তবে অনলাইন পেমেন্ট সফল হলেও স্টেশনে স্থাপিত নতুন এভিএম যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ না করা পর্যন্ত রিচার্জ কার্যকর হবে না। এভিএম যন্ত্রে স্পর্শের আগে কেউ চাইলে তার রিচার্জটি সাতদিনের মধ্যে বাতিল করতে পারবে; সেক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হবে।
কোনো গ্রাহক রিচার্জের পর তিন মাসের মধ্যে এভিএম যন্ত্রে স্পর্শ না করলে সেক্ষেত্রেও রিচার্জের অর্থ গ্রাহকের একাউন্টে ফেরত চলে যাবে। এক্ষেত্রেও পাঁচ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কাটা হবে। অনলাইন রিচার্জ কার্যক্রম চালুর অংশ হিসেবে সোমবার থেকে ১৬টি স্টেশনে মোট ৩২টি এভিএম যন্ত্র স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশনে দুটি করে যন্ত্র বসানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এদিন সোমবার ১০০ টাকা রিচার্জ করা হয়েছিল এমন একটি কার্ড এভিএম যন্ত্রে স্পর্শ করার মাধ্যমে যে রিচার্জটি সফল করে দেখান।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ বিশেষ সহকারী বলেন, “আজকে আমরা এই টপআপের যেটা ব্যবস্থা করে দিলাম, এর ফলে আর আমরা যারা এখানে ট্রাভেল করি তাদেরকে স্টেশনে এসে লাইন ধরে দাঁড়াতে হবে না। বাসায় বসে করে ফেলতে পারবেন।
“আচ্ছা আমি আরেকটা জিনিস যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হচ্ছে শুধু এখানে তো আমরা থেমে নেই এবং আমরা থেমে থাকবও না। আমরা যখন এই এমআরটি লাইন থেকে বের হয়ে আমাদেরকে যদি বাসে উঠতে হয় তখন যেন এই কার্ডটা দিয়েই আমরা বাসে উঠতে পারি এটাও আমরা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি।”
র্যাপিড পাস দিয়ে যেসব পরিবহনে চলাচল করা যাবে সেখানেও এ সুবিধা বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে তার ভাষ্য।
পরবর্তীতে বিভিন্ন টোল সেবায় যেন এমআরটি দিয়ে ই-টোলিং করা যায় সেই ব্যবস্থার জন্য কাজ হচ্ছে বলে তিনি তুলে ধরেন।
ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার এ উদ্যোগকে ‘মাইলফলক’ দাবি করে বলেন, “এখন আর দীর্ঘ লাইন ধরতে হবে না; যে কোনো জায়গা থেকে রিচার্জ করা যাবে।”
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার লাখ ব্যবহারকারী মেট্রোরেল ব্যবহার করছে। এবং ১৬ লাখ স্মার্ট কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে রয়েছে।
দৈনিক যেসকল যাত্রী মেট্রোসেবা নিচ্ছেন তাদের ৬৫ শতাংশ স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়






































































































































































































