ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনন্ত জলিলের কারখানায় গ্যাস চুরি, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল তিতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৩ Time View

অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের বিরুদ্ধে গ্যাস চুরির অভিযোগ

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের বিরুদ্ধে গ্যাস চুরির অভিযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কারখানায় বিল বকেয়া ও মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার সকালে তিতাসের ভিজিল্যান্স টিম কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় কারখানার শ্রমিকরা তিতাস কর্মকর্তাদের ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

তিতাসের ব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) আব্দুল আলীম রাসেল বলেন, “অভিযানে গ্যাস মিটার টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দুটি মিটার জব্দ করা হয়েছে।”

তিতাসের সাভার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এজেআই গ্রুপের মোট তিনটি গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি সংযোগ (সংকেত নম্বর–৩৩৮০০০৪০৪ ও ৮৩৮০০০৪০৪)-এ প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মিটার বদলে গ্যাস চুরি করা হচ্ছিল, যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, “আমি এই ফ্যাক্টরি ভাড়া দিয়েছিলাম জুয়েল ইসলাম নামে একজনকে। সে-ই বিল না দিয়ে মিটার টেম্পারিং করেছে। এতে আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি নিজে এ ঘটনায় দায়ী নই।”

তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এসব খবর প্রকাশ না করাই ভালো। আমি একজন সেলিব্রিটি—এ ধরনের সংবাদ আমার ইমেজের ক্ষতি করতে পারে।”

তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অনন্ত জলিল নিজেই গ্রাহক হিসেবে সব চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। কারখানা কাকে ভাড়া দেওয়া হলো, তা তিতাসের বিষয় নয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী চুরি করা গ্যাসের মূল্য ও বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

অনন্ত জলিলের কারখানায় গ্যাস চুরি, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল তিতাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৮:১৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের বিরুদ্ধে গ্যাস চুরির অভিযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কারখানায় বিল বকেয়া ও মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত শনিবার সকালে তিতাসের ভিজিল্যান্স টিম কারখানায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় কারখানার শ্রমিকরা তিতাস কর্মকর্তাদের ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

তিতাসের ব্যবস্থাপক (ভিজিল্যান্স) আব্দুল আলীম রাসেল বলেন, “অভিযানে গ্যাস মিটার টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দুটি মিটার জব্দ করা হয়েছে।”

তিতাসের সাভার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এজেআই গ্রুপের মোট তিনটি গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি সংযোগ (সংকেত নম্বর–৩৩৮০০০৪০৪ ও ৮৩৮০০০৪০৪)-এ প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, মিটার বদলে গ্যাস চুরি করা হচ্ছিল, যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন, “আমি এই ফ্যাক্টরি ভাড়া দিয়েছিলাম জুয়েল ইসলাম নামে একজনকে। সে-ই বিল না দিয়ে মিটার টেম্পারিং করেছে। এতে আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি নিজে এ ঘটনায় দায়ী নই।”

তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এসব খবর প্রকাশ না করাই ভালো। আমি একজন সেলিব্রিটি—এ ধরনের সংবাদ আমার ইমেজের ক্ষতি করতে পারে।”

তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ বলছে, অনন্ত জলিল নিজেই গ্রাহক হিসেবে সব চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। কারখানা কাকে ভাড়া দেওয়া হলো, তা তিতাসের বিষয় নয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী চুরি করা গ্যাসের মূল্য ও বকেয়া বিল পরিশোধ না করা পর্যন্ত সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে না।