ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নিস্পত্তির মাধ্যমে মামলা জট কমিয়ে বিচার কাজ এগিয়ে নিতে হবে আদালত থেকে হাতকড়াসহ লাফ দিয়ে হত্যা মামলার আসামির পালানোর চেষ্টা নয় বছর পর ফিরছে ‘ব্রিকলেন কারি ফ্যাস্টিভ্যাল’ ফিলিস্তিনের প্রধান বিচারপতির সম্মানে প্রধান বিচারপতির নৈশভোজ চাইলেই দেড় বছরে সংস্কার সম্ভব নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা টিভি দেখতে দেখতেই ব্রেন স্ট্রোক করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী যেদিন রাস্তায় নামব, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না : কাদের সিদ্দিকী আসছে ‘পুষ্পা ৩’, জানালেন পরিচালক বিচার, সংস্কার আর নির্বাচন এখন বাংলাদেশের প্রধান স্বার্থ : জোনায়েদ সাকি ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না : সেনাবাহিনী

অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

Reporter Name
  • Update Time : ১০:১২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৬৬ Time View

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারে স্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, রাজনীতিক এবং গবেষক অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এবং পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস‍্য হিসেবে পান্না কায়সারের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। এ সময় তারা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

নিহতের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, শুক্রবার ৪ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তার মেয়ে শমী কায়সার দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তোলেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে।

পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত এই শহীদজায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

Reporter Name
Update Time : ১০:১২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারে স্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, রাজনীতিক এবং গবেষক অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এবং পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস‍্য হিসেবে পান্না কায়সারের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। এ সময় তারা মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

নিহতের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, শুক্রবার ৪ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তার মেয়ে শমী কায়সার দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। ১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তোলেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে।

পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত এই শহীদজায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।