অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পাশে জামায়াত আমির, ঘোষণা দিলেন ১ লাখ টাকার সহায়তা

- Update Time : ১০:৩৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ৮৭ Time View
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রতিটি পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রূপনগর এলাকার একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু ও কয়েকজনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘুরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি আহত ও নিহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মুসা, ঢাকা-১৪ আসনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) এবং ঢাকা-১৬ আসনে প্রার্থী কর্নেল (অব.) আবদুল বাতেন।
নিহতদের পরিবারপ্রতি এক লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক অনুদান ঘোষণা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনায় যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের শোকের গভীরতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তারা গরিব ও পরিশ্রমী মানুষ, পেটের দায়ে কাজ করতে এসে প্রাণ দিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব।
তিনি জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন এবং বলেন, সরকার, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, মানবিক সংস্থা ও সংগঠনগুলো এগিয়ে এলে এই পরিবারগুলোর কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
এর আগে এক শোকবার্তায় জামায়াত আমির বলেন, রাজধানীর মিরপুরের পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন শ্রমজীবী মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।নিহতদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করি—তিনি যেন তাদের ক্ষমা করেন, শহীদের মর্যাদা দান করেন এবং জান্নাত নসিব করেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন।
তিনি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রূপনগরের গার্মেন্টস প্রিন্টিং কারখানা ও রাসায়নিক গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে আরও ১২টি ইউনিট যোগ দেয়। রাত পর্যন্ত আগুনে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।