ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯৪ শতাংশ আমানত তুলে নিয়েছে বাংলাদেশিরা: সুইস ব্যাংক

ইকোনমিক ডেক্স
  • Update Time : ০৯:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / ১৯৯ Time View

সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডের সব ব্যাংকে থেকে মাত্র ১২মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের আমানত ৯৪ শতাংশ কমেছে ।

বৃহস্পতিবার (২২) জুন সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের অর্থপাচারের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসার পরেই সুইস ব্যাংকের এমন তথ্য এসেছে।

২০২১ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০২২ সালে তা কমে প্রায় পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ সুইস ফ্রাঁতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে প্রায় ৮২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি সুইস ফ্রাঁর বিনিময় মূল্য প্রায় ১২১ টাকা ধরলে পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ প্রায় ৬৬৯ কোটি টাকা দাঁড়াবে।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশ থেকে জমা হওয়া অর্থ সে দেশের দায় হিসেবে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে থাকে।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা হয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, দেশে ডলারসংকটের কারণে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো ডলারসংকট সামাল দিতে সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নিয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার সক্ষমতা হারিয়েছে।

২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে কম অর্থ ছিল ২০০৩ সালে। ওই বছর দেশটির ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই কোটি সুইস ফ্রাঁ। আর সবচেয়ে বেশি আমানত ছিল ২০২১ সালে। ওই বছর বাংলাদেশিদের আমানত ৮৭ কোটি সুইস ফ্রাঁ ছাড়িয়েছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

৯৪ শতাংশ আমানত তুলে নিয়েছে বাংলাদেশিরা: সুইস ব্যাংক

ইকোনমিক ডেক্স
Update Time : ০৯:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

সুইজারল্যান্ডের সব ব্যাংকে থেকে মাত্র ১২মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের আমানত ৯৪ শতাংশ কমেছে ।

বৃহস্পতিবার (২২) জুন সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের অর্থপাচারের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসার পরেই সুইস ব্যাংকের এমন তথ্য এসেছে।

২০২১ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০২২ সালে তা কমে প্রায় পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ সুইস ফ্রাঁতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে প্রায় ৮২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি সুইস ফ্রাঁর বিনিময় মূল্য প্রায় ১২১ টাকা ধরলে পাঁচ কোটি ৫৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ প্রায় ৬৬৯ কোটি টাকা দাঁড়াবে।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন দেশ থেকে জমা হওয়া অর্থ সে দেশের দায় হিসেবে আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে থাকে।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা হয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, দেশে ডলারসংকটের কারণে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো ডলারসংকট সামাল দিতে সুইস ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে নিয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান হয়তো সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার সক্ষমতা হারিয়েছে।

২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে কম অর্থ ছিল ২০০৩ সালে। ওই বছর দেশটির ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই কোটি সুইস ফ্রাঁ। আর সবচেয়ে বেশি আমানত ছিল ২০২১ সালে। ওই বছর বাংলাদেশিদের আমানত ৮৭ কোটি সুইস ফ্রাঁ ছাড়িয়েছিল।