ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন পুলিশের মদদে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও হয়রানির অভিযোগ বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

৫ মাস পর আত্মগোপনে থাকা ভিকটিম উদ্ধার করল পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৮:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭৯ Time View

৫ মাস আত্মগোপনে থাকার পর আশুলিয়া থানাধীন কাঠগরা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা এক ভিকটিম উদ্ধার করেছে পিপিআই ঢাকা জেলা।

তার নাম নিজাম @মিজান (১৭)। সে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বাঁশদহ গ্রামের জামিয়ার রহমানের ছেলে।

গত ২৪/০৭/২০২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে ভিকটিম আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার ঢাকা ফার্নিচার এর দোকানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করত। গত ১৪/০২/২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় থেকে সে নিখোঁজ হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা জামিয়ার রহমান ঢাকা নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে উক্ত কারখানার মালিক এবং কর্মচারী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯৯/২৩।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কাজ করার সুবাদে আশেপাশে বিভিন্ন মুদির দোকান, খাবার হোটেল, মোবাইলের দোকান এবং ভাড়া বাসার মালিক এবং আশেপাশের অন্যান্য কারখানার মালিকদের নিকট থেকে কাজ করা বিনিময়ে অগ্রিম প্রায় ৬০ হাজার টাকা দেনা করে পালিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের পিতা জামিয়ার রহমান ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে প্রথমে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। যার নাম্বার ২৩৭/২৪, তারিখ- ০৩/০৩/২০২৩। আশুলিয়া থানা পুলিশ উক্ত ভিকটিম উদ্ধারে ব্যর্থ হলে ভিকটিমের পিতা বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: সজীবুর রহমান দীর্ঘ অনুসন্ধান করে আশেপাশের স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪/৭/২০২৩ ইং তারিখ কাঠগড়া এলাকা থেকে ভিকটিম মিজানকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মিজান জানিয়েছে, অভাব অনটনের কারণে তার পিতা টাকা পয়সার জন্য চাপ দিত। তার চাহিদা মতো টাকা পয়সা না দেওয়ার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে কর্মস্থল থেকে ঘটনার দিন আত্মগোপনে চলে যায়।

ভিকটিমকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

৫ মাস পর আত্মগোপনে থাকা ভিকটিম উদ্ধার করল পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৮:৫৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

৫ মাস আত্মগোপনে থাকার পর আশুলিয়া থানাধীন কাঠগরা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা এক ভিকটিম উদ্ধার করেছে পিপিআই ঢাকা জেলা।

তার নাম নিজাম @মিজান (১৭)। সে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার বাঁশদহ গ্রামের জামিয়ার রহমানের ছেলে।

গত ২৪/০৭/২০২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে ভিকটিম আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার ঢাকা ফার্নিচার এর দোকানে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করত। গত ১৪/০২/২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় থেকে সে নিখোঁজ হয়।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা জামিয়ার রহমান ঢাকা নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে উক্ত কারখানার মালিক এবং কর্মচারী সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯৯/২৩।

তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম কাজ করার সুবাদে আশেপাশে বিভিন্ন মুদির দোকান, খাবার হোটেল, মোবাইলের দোকান এবং ভাড়া বাসার মালিক এবং আশেপাশের অন্যান্য কারখানার মালিকদের নিকট থেকে কাজ করা বিনিময়ে অগ্রিম প্রায় ৬০ হাজার টাকা দেনা করে পালিয়ে যায়। এরপর ভিকটিমের পিতা জামিয়ার রহমান ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে প্রথমে আশুলিয়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। যার নাম্বার ২৩৭/২৪, তারিখ- ০৩/০৩/২০২৩। আশুলিয়া থানা পুলিশ উক্ত ভিকটিম উদ্ধারে ব্যর্থ হলে ভিকটিমের পিতা বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: সজীবুর রহমান দীর্ঘ অনুসন্ধান করে আশেপাশের স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪/৭/২০২৩ ইং তারিখ কাঠগড়া এলাকা থেকে ভিকটিম মিজানকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম মিজান জানিয়েছে, অভাব অনটনের কারণে তার পিতা টাকা পয়সার জন্য চাপ দিত। তার চাহিদা মতো টাকা পয়সা না দেওয়ার কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে কর্মস্থল থেকে ঘটনার দিন আত্মগোপনে চলে যায়।

ভিকটিমকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।