ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ করলেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল ঘোষণা, অভিষেক হচ্ছে মাহিদুলের ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব খালেদা জিয়া হাসপাতালে নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ঝুঁকির মধ্যে যেতে চাই না : সালাহউদ্দিন আহমদ রূপগঞ্জে পেট্রল পাম্পে বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু ব্যাংককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রীর বৈঠক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভায় ডিইউজে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের সিদ্ধান্ত গৃহীত

৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে ছাত্রশিবির

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৬০২ Time View

ফলাফল ঘোষণার পর চাকসুর নতুন ভিপি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও জিএস সাঈদ বিন হাবিব

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছে।

সহ-সভাপতি পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী মো. শাফায়েত হোসেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।

কেবলমাত্র দুটি পদে এই জোটের প্রার্থীরা জয় পায়নি—সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি ৪ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির-সমর্থিত প্রার্থী শাহ পরান মারুফ ৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়া, শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা বাকি ২২টি পদে জয়ী হয়েছেন।

চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিবিএ অনুষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এর আগে ১৯৮১ সালে পঞ্চম চাকসু নির্বাচনে শিবির জয়লাভ করেছিল। সেই সময় জসিম উদ্দিন সরকার সহ-সভাপতি ও আব্দুল গাফফার সাধারণ সম্পাদক হন। দুজনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নেতা ছিলেন। এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের যৌথ প্যানেল জয়লাভ করে। সহ-সভাপতি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আজিম উদ্দিন আহমেদ।

এরপর ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে ২৬টি চাকসু পদে ৪১৫ জন ও ১৪টি হল সংসদের পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে ছাত্রশিবির

নিজেস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছে।

সহ-সভাপতি পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী মো. শাফায়েত হোসেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।

কেবলমাত্র দুটি পদে এই জোটের প্রার্থীরা জয় পায়নি—সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি ৪ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির-সমর্থিত প্রার্থী শাহ পরান মারুফ ৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়া, শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা বাকি ২২টি পদে জয়ী হয়েছেন।

চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিবিএ অনুষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এর আগে ১৯৮১ সালে পঞ্চম চাকসু নির্বাচনে শিবির জয়লাভ করেছিল। সেই সময় জসিম উদ্দিন সরকার সহ-সভাপতি ও আব্দুল গাফফার সাধারণ সম্পাদক হন। দুজনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নেতা ছিলেন। এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের যৌথ প্যানেল জয়লাভ করে। সহ-সভাপতি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আজিম উদ্দিন আহমেদ।

এরপর ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে ২৬টি চাকসু পদে ৪১৫ জন ও ১৪টি হল সংসদের পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।