ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজায় নারীদের জন্য নেতানিয়াহুর ‘মায়াকান্না’ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেসস্প্রিন্ট-২০২৫ প্রতিযোগিতা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভিডিও বানানো ১২ তরুণের নামে মামলা ভারতে থাকা কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টঙ্গীতে বেক্সিমকোর পাশের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন সংবিধান পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আগের পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে: সিইসি আগামী নির্বাচনে অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি এআই: সিইসি শ্রীপুরে বিএনপি নেতার বাড়ীতে ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশি করে বৃক্ষরোপণ করতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা

২৭ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম

আলমগী‌র হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনি‌ধি
  • Update Time : ১১:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • / ১১৩ Time View

রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে।  প্রকল্প অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পাথর ব্যবহার না করে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফট্যানেন্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পান তারা। এসময় ঘটনাস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। অর্থাৎ প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহিনুর রহমান বলেন, আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী ২৩ কেজি প্রতি স্কয়ারে পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি। আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপায়ার করে দিব।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে দায়সারা বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এরিয়া, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দিব।

Please Share This Post in Your Social Media

২৭ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম

আলমগী‌র হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনি‌ধি
Update Time : ১১:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে।  প্রকল্প অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পাথর ব্যবহার না করে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফট্যানেন্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পান তারা। এসময় ঘটনাস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা। গত ৪ ফেব্রুয়ারি কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। অর্থাৎ প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহিনুর রহমান বলেন, আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী ২৩ কেজি প্রতি স্কয়ারে পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি। আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপায়ার করে দিব।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে দায়সারা বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এরিয়া, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দিব।