ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন জাবি উপাচার্য পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তরুণদের আরেকটি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ডিএমপির ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন এএসআই পলাশ কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ কুবিতে তিন দপ্তরে ‘বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগ গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা চায় বাংলাদেশ টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত : ড. ইউনূস লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা প্লট জালিয়াতির ৩ মামলায় প্রধান আসামি রেহানা-ববি-আজমিনা, সহযোগী হাসিনা-টিউলিপ

১৮ বছরের কমবয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভিভাবকের অনুমতি লাগবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৬ Time View

শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে নতুন একটি আইন করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ‘ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ নামের এ আইনটির খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে।

সেই খসড়ায় বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা জোর দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র চায়, ১৮ বছরের কমবয়সীরা যেন বাবা মা কিংবা তাদের অবর্তমানে অন্য কোনো অভিভাভকদের অনুমতিসাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলে।”

বাবা-মায়ের অনুমতিসাপেক্ষে অনূর্ধ্ব ১৮ নাগরিকেরা সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুললে কী সুবিধা হবে এবং অসুবিধাই বা কী কী হতে পারে, সে বিষয়ে জনসাধারণের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট মাইগভ ডট ইন-এ গিয়ে এ ইস্যুতে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন যে কেউ। ১৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মতামত যাচাই ও গ্রহণ করা হবে।

কিন্তু সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বাবা-মায়ের অনুমতি যে নেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া একটি বড় প্রশ্ন। খসড়া আইনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি পরিচয়পত্র বা আধার কার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিশুকল্যাণ সংস্থার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে ছাড় দেওয়া হবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ওই তথ্য মুছে দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেন, চাইতে পারবেন কৈফিয়তও। তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। কোনও ভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি রুপি জরিমানার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সমাজমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত এই নিয়মাবলী প্রযুক্ত হলে তার উপর নজরদারির জন্য একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তথ্য ফাঁসের ঘটনার তদন্ত করে ওই বোর্ড, নির্ধারণ করবে জরিমানা। আপাতত সাধারণ নাগরিকদের মতামত, সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা হবে। তার পর এই খসড়া আইন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে একটি আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বয়স ন্যূনতম ১৬ হতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে সেই আইন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

১৮ বছরের কমবয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অভিভাবকের অনুমতি লাগবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৭:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে নতুন একটি আইন করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার ‘ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩’ নামের এ আইনটির খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে।

সেই খসড়ায় বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা জোর দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র চায়, ১৮ বছরের কমবয়সীরা যেন বাবা মা কিংবা তাদের অবর্তমানে অন্য কোনো অভিভাভকদের অনুমতিসাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলে।”

বাবা-মায়ের অনুমতিসাপেক্ষে অনূর্ধ্ব ১৮ নাগরিকেরা সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুললে কী সুবিধা হবে এবং অসুবিধাই বা কী কী হতে পারে, সে বিষয়ে জনসাধারণের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট মাইগভ ডট ইন-এ গিয়ে এ ইস্যুতে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন যে কেউ। ১৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মতামত যাচাই ও গ্রহণ করা হবে।

কিন্তু সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বাবা-মায়ের অনুমতি যে নেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া একটি বড় প্রশ্ন। খসড়া আইনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি পরিচয়পত্র বা আধার কার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিশুকল্যাণ সংস্থার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে ছাড় দেওয়া হবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ওই তথ্য মুছে দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেন, চাইতে পারবেন কৈফিয়তও। তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। কোনও ভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে সর্বোচ্চ ২৫০ কোটি রুপি জরিমানার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সমাজমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত এই নিয়মাবলী প্রযুক্ত হলে তার উপর নজরদারির জন্য একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তথ্য ফাঁসের ঘটনার তদন্ত করে ওই বোর্ড, নির্ধারণ করবে জরিমানা। আপাতত সাধারণ নাগরিকদের মতামত, সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা হবে। তার পর এই খসড়া আইন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে একটি আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর বয়স ন্যূনতম ১৬ হতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে সেই আইন।