১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামীলীগ

- Update Time : ০৬:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫ Time View
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কয়েক জন মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও মেয়রের নেতৃত্বে ইষ্ট লন্ডনে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ ও নানা অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রোববার থেকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইস্ট লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এদিকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার ইষ্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে এক সমাবেশে ডাক দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
গত জুলাই -আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে লন্ডনে এসে পাড়ি জমিয়েছেন। দিন যাপন করছেন আরাম আয়াসে।ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ,সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব,সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার,সিলেট সিটি মেয়র আনোয়ারুজজ্জামানের নেতৃত্বে ইস্ট এলাকায় কেনন স্ট্রিটে লিফলেট বিতরণ ও ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষনা করেন। এদিকে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা অনেক নেতৃবৃন্দ ঘরোয়া ভাবে বৈঠক করে চলেছেন।
সুত্র থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে সাবেক এক ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাবেক যুবলীগ নেতা শেখ রেহানার আস্থা ভাজন সিলেটের বিতর্কিত নির্বাচনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান সহযোগীদের নিয়ে পলাতক মন্ত্রীরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আস্তে আস্তে সক্রিয় হচ্ছেন। এবং কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করা যায় এমন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।আর এতে করে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন সিলেটের সিটি কর্পোরেশনের সেই অবৈধ তথাকথিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকীর একান্ত আস্থা ভাজন ছিলেন বলে সকলের জানা।
এদিকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কর্মীরা। বাংলাদেশের হাজার হাজার ছাত্র জনতা কে হত্যাকার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এই সক্রিয়তায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন প্রবাসীরা। তারা মনে করেন এখনি এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে লন্ডনের হাইকমিশনের মাধ্যমে কিভাবে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা যায় সে ব্যাপারে ভূমিকা নিতে হবে।