হোসেনপুরে আলুর বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে আনন্দিত কৃষক

- Update Time : ০২:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১১৭ Time View
কিশোগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে বর্তমান বাজারে উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। গত বছর শীত মৌসুমে আবহাওয়া প্রতিকুলতায় আলু চাষে নানা ধরনের রোগ বালাই থাকায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হয়নি।
ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় সারা বছরই আলুর দাম বেশী রয়েছে। কিন্তু এবার মৌসুমের শুরুতেই আগাম উৎপাদিত আলুর মুল্য প্রতি মণ ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে নতুন আলু মন প্রতি ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের (২০২৪ সাল) এ সময়ে আলুর দাম মন প্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ছিল। মূলত:বর্তমান বাজারে সিম, বেগুন, কপি সহ অন্যান্য সবজির দাম অত্যান্ত কমে গিয়ে কৃষক লোকশানে পড়লেও আলু চাষীরা লাভবান হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, বীজ আলুর দাম বেশী হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক সিম, বেগুন, মুলা ও কপি চাষ করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। ফলে আগাম উৎপাদনকৃত আলুর তুলনায় অধিক চাষকৃত অন্যান্য সবজি বেশী উৎপাদিত হওয়ায় দাম কমে গিয়ে বাজারে তুলনামুলক আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু প্রধান সবজি হওয়ায় বারোমাসই চাহিদা মেটাতে সর্বোচ্ছ যোগানদাতা হিসেবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সারা বছরই বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি আলু বিক্রি হয়েছে।
এবার চলতি মৌসুমের শুরুতে রোপনকৃত ডায়মন্ড, এস্টারিজ, স্পীট ও দেশীয় লাল বীজ আলুর মুল্য ৮০ থেকে ১শ টাকা কেজি হলেও কৃষকরা চড়া দামে বীজ ক্রয় করে আলু চাষে থেমে থাকেনি। কৃষকের রোপনকৃত আলু জমিতে এবার তেমন কোন রোগ বালাই না থাকায় ও আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে বলে চাষীরা মনে করেন।
উপজেলার বাসুরচর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম,শাহজাহান মিয়া ও জামাইল গ্রামের কৃষক নবী হোসেনসহ অনেকেই জানান, এবার প্রতি শতাংশে প্রকার ভেদে দেড় থেকে দুই মন করে আলু উৎপাদিত হয়েছে। বীজ আলু বেশী দামে ক্রয় করলেও ফলন অধিক হওয়ায় এবং বাজার দর তুলনা মূলক ভালো হওয়ায় কৃষকের কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলার চরজামাইল গ্রামের রিটন মিয়া জানান, এবারে অনুকুল আবহাওয়াতে রোগ বালাই বা মড়ক না থাকায় কীট নাশকের ব্যবহারও অনেকাংশে কম হয়েছে। ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচও কিছুটা কম হয়েছে। অন্যদিকে আলুর দাম ভাল পাওয়ায় কৃষক আনন্দিত।
উপজেলার চরহাজীপুর, সাহেবেরচর, চরজামাইল, কাওনা বাসুরচর ও ভরুয়া গ্রামে দেখা যায় অধিকাংশ কৃষক আগাম উৎপাদনকৃত আলু চড়া দামে বিক্রি করে অধিক ফলন ও ভালো দাম পাওয়ার আশায় একই জমিতে পুনরায় আলু রোপন করে দিয়েছেন। এতে চলতি বছরে আলুর চাহিদা পুরনসহ বাজার দর ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে বলে ভোক্তারা মনে করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহজাহান কবির জানান,এ বছর অনুকূল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা মহা খুশি। তবে আলু সংরক্ষণের জন্য এ এলাকায় একটি হিমাগার থাকলে কৃষকরা আরো বেশি লাভবান হতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়