ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন জাবি উপাচার্য পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তরুণদের আরেকটি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ডিএমপির ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন এএসআই পলাশ কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ কুবিতে তিন দপ্তরে ‘বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগ গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা চায় বাংলাদেশ টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত : ড. ইউনূস লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা প্লট জালিয়াতির ৩ মামলায় প্রধান আসামি রেহানা-ববি-আজমিনা, সহযোগী হাসিনা-টিউলিপ
বছর শুরুতেই হাড়হিম ‘হত্যাকাণ্ড’,

হোটেলের ঘরে মা ও চার বোনকে খুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৫২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৩ Time View

নববর্ষের দিনেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের লক্ষ্ণৌও। সেখানে একটি হোটেলে নিজের মা এবং চার বোনকে নিজ হাতে খুন করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আরশাদ (২৪) নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি আগ্রার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করেই তিনি তার মা ও চার বোনকে হত্যা করেছেন।

পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে লখনউয়ের একটি হোটেলের ঘর থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন বালিকা এবং একজন কিশোরীও রয়েছে।

লখনউ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য লখনউ) রবীনা ত্যাগী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহরের নাকা এলাকায় অবস্থিত হোটেল শরণজিতে এই গণখুনের ঘটনাটি ঘটেছে।

ডিসিপি রবীনা ত্যাগী আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক, ২৪ বছরের আরশাদ তাঁর নিজের পরিবারেরই পাঁচ সদস্যকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অপরাধ ঘটানোর পর স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছয় এবং সেখা থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।’

ডিসিপি বলেন, এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, সেই তালিকায় দু’জন নাবালিকাও রয়েছে। তারা হল – ৯ বছরের আলিয়া এবং ১৬ বছরের আকসা। এছাড়াও, এই ঘটনায় আরও যাঁরা নিহত হয়েছেন,তাঁরা হলেন – ১৮ বছরের রাহমিন, ১৯ বছর বয়সী আলশিয়া, এবং মাঝবয়সী আসমা।

পুলিশের দাবি, আসমা আদতে ধৃত আরশাদের মা! এবং বাকি চারজনই আসমার মেয়ে ও ধৃত আরশাদের বোন!

প্রাথমিক তদন্তে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানতে পেরেছে, আরশাদ আদতে আগরার বাসিন্দা। যত দূর জানা যাচ্ছে, তাঁদের পরিবারে নিত্য অশান্তি হত। এবং সেই অশান্তি চরম ওঠাতেই চার বোন ও মাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন আরশাদ!

তবে, এটাই খুনের একমাত্র কারণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, আরশাদকে জেরা করার পরই এই বিষয়ে আরও কিছু বলা সম্ভব। তাছাড়া, নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসাটাও জরুরি। প্রয়োজনে এই পরিবারের আত্মীয় ও পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

ডিসিপি রবীনা ত্যাগী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল পৌঁছে গিয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। একইসঙ্গে, তদন্তের  কাজও করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

বছর শুরুতেই হাড়হিম ‘হত্যাকাণ্ড’,

হোটেলের ঘরে মা ও চার বোনকে খুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৪:৫২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

নববর্ষের দিনেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের লক্ষ্ণৌও। সেখানে একটি হোটেলে নিজের মা এবং চার বোনকে নিজ হাতে খুন করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আরশাদ (২৪) নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি আগ্রার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করেই তিনি তার মা ও চার বোনকে হত্যা করেছেন।

পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে লখনউয়ের একটি হোটেলের ঘর থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন বালিকা এবং একজন কিশোরীও রয়েছে।

লখনউ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য লখনউ) রবীনা ত্যাগী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহরের নাকা এলাকায় অবস্থিত হোটেল শরণজিতে এই গণখুনের ঘটনাটি ঘটেছে।

ডিসিপি রবীনা ত্যাগী আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত যুবক, ২৪ বছরের আরশাদ তাঁর নিজের পরিবারেরই পাঁচ সদস্যকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অপরাধ ঘটানোর পর স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছয় এবং সেখা থেকেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।’

ডিসিপি বলেন, এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, সেই তালিকায় দু’জন নাবালিকাও রয়েছে। তারা হল – ৯ বছরের আলিয়া এবং ১৬ বছরের আকসা। এছাড়াও, এই ঘটনায় আরও যাঁরা নিহত হয়েছেন,তাঁরা হলেন – ১৮ বছরের রাহমিন, ১৯ বছর বয়সী আলশিয়া, এবং মাঝবয়সী আসমা।

পুলিশের দাবি, আসমা আদতে ধৃত আরশাদের মা! এবং বাকি চারজনই আসমার মেয়ে ও ধৃত আরশাদের বোন!

প্রাথমিক তদন্তে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ জানতে পেরেছে, আরশাদ আদতে আগরার বাসিন্দা। যত দূর জানা যাচ্ছে, তাঁদের পরিবারে নিত্য অশান্তি হত। এবং সেই অশান্তি চরম ওঠাতেই চার বোন ও মাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন আরশাদ!

তবে, এটাই খুনের একমাত্র কারণ, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, আরশাদকে জেরা করার পরই এই বিষয়ে আরও কিছু বলা সম্ভব। তাছাড়া, নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসাটাও জরুরি। প্রয়োজনে এই পরিবারের আত্মীয় ও পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

ডিসিপি রবীনা ত্যাগী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল পৌঁছে গিয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। একইসঙ্গে, তদন্তের  কাজও করা হচ্ছে।