ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাদি হত্যা মামলায় আদালতে অটোরিকশা চালকের জবানবন্দি

অপরাধ ডেস্ক
  • Update Time : ১২:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১১ Time View

১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি। ছবি: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নেওয়া।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদি (ওসমান হাদি) গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার দিন হাদিকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মো. কামাল হোসেন (৪৬)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, শহিদ শরিফ ওসমান হাদি মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচারের সময় শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে ফয়সাল করিমের কোনও খোঁজ এখনও বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Please Share This Post in Your Social Media

হাদি হত্যা মামলায় আদালতে অটোরিকশা চালকের জবানবন্দি

অপরাধ ডেস্ক
Update Time : ১২:২৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদি (ওসমান হাদি) গুলি করে হত্যার ঘটনায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঘটনার দিন হাদিকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মো. কামাল হোসেন (৪৬)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, শহিদ শরিফ ওসমান হাদি মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় করে মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে প্রদান করতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬৪ ধারামতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে নির্বাচনী প্রচারের সময় শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

শহিদ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে মামলাটি করেছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা, অর্থের জোগানদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তবে ফয়সাল করিমের কোনও খোঁজ এখনও বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।