ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ৭ বছর

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩
  • / ২৪৬ Time View

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ৭ বছর পেরুলো। স্মরণকালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার এখন হাইকোর্টে রায়ের অপেক্ষায়। চলতি মাসেই শেষ হতে পারে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি। এ মামলায় সব জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের আজকের দিনে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করেছিল নব্য জেএমবির সদস্যরা। পরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে যৌথ অভিযান চালালে হামলার পরিকল্পনাকারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেফতার হয় আরও ৮ জন। ২০১৯ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় ৭ জনকে ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তেমনি দেশের সুনাম খুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও।

গত মে মাসে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। রাষ্ট্রের প্রধান আইনি কর্মকর্তা বলছেন, আর ৩-৪ কার্যদিবস শুনানি হলেই শেষ হবে হাইকোর্টের শুনানিও।

এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, জুলাইয়ে শেষ হবে হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি।

ওই ঘটনার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় গ্লোবাল টেরোরিজমের সূচকে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। জঙ্গিদের এমন হামলা চালানোর সক্ষমতা আর নেই বলে দাবি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের।

এ প্রসঙ্গে সিটিটিসির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শান্তিতে আছি বলে যে দেশে জঙ্গিদের কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে এমন ভাবার সুযোগ নেই। আপাতত কোনো আত্মতুষ্টিও নেই। একজন তরুণ বিপদ না বুঝে যেভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এর বিপদও ভয়াবহ। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার সুযোগ আছে গণমাধ্যমের।

প্রসঙ্গত, জঙ্গি হামলার ঝুঁকি বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ এখন ভুটান। আর তারপরই স্থান বাংলাদেশের।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গিবাদ নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে আছেঃ ডিএমপি কমিশনার

Please Share This Post in Your Social Media

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ৭ বছর

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০২:২০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ৭ বছর পেরুলো। স্মরণকালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার এখন হাইকোর্টে রায়ের অপেক্ষায়। চলতি মাসেই শেষ হতে পারে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি। এ মামলায় সব জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের আজকের দিনে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করেছিল নব্য জেএমবির সদস্যরা। পরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে যৌথ অভিযান চালালে হামলার পরিকল্পনাকারীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। গ্রেফতার হয় আরও ৮ জন। ২০১৯ সালে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় ৭ জনকে ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করে আসামিরা। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তেমনি দেশের সুনাম খুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও।

গত মে মাসে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। রাষ্ট্রের প্রধান আইনি কর্মকর্তা বলছেন, আর ৩-৪ কার্যদিবস শুনানি হলেই শেষ হবে হাইকোর্টের শুনানিও।

এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, জুলাইয়ে শেষ হবে হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি।

ওই ঘটনার পর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় গ্লোবাল টেরোরিজমের সূচকে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। জঙ্গিদের এমন হামলা চালানোর সক্ষমতা আর নেই বলে দাবি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের।

এ প্রসঙ্গে সিটিটিসির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আপাতত শান্তিতে আছি বলে যে দেশে জঙ্গিদের কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে এমন ভাবার সুযোগ নেই। আপাতত কোনো আত্মতুষ্টিও নেই। একজন তরুণ বিপদ না বুঝে যেভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এর বিপদও ভয়াবহ। এসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার সুযোগ আছে গণমাধ্যমের।

প্রসঙ্গত, জঙ্গি হামলার ঝুঁকি বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ এখন ভুটান। আর তারপরই স্থান বাংলাদেশের।

আরও পড়ুনঃ জঙ্গিবাদ নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে আছেঃ ডিএমপি কমিশনার