হত্যাচেষ্টার মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার
- Update Time : ০৬:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ২৩ Time View
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের আদেশ দেন।
অভিনেত্রী শমী কায়সারকে উত্তরা ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
এর আগে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেছিলেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার গ্রেপ্তার হলেন এই অভিনেত্রী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হত্যার এক মামলায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসসহ অন্যান্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা দায়ের করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই শমী কায়সার নানাভাবে বিতর্কিত হয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কটূক্তি করার অভিযোগে ১৪ অক্টোবর মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারের নামে ১০০ কোটি টাকার মামলা দায়ের করা হয়। গত ৯ অক্টোবর শমী কায়সার, তারানা হালিমসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা মামলা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার ও লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার দম্পতির সন্তান শমী কায়সার নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। পরে তিনি প্রযোজনায়ও নাম লেখান।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৪ অগাস্ট ই-ক্যাব সভাপতির পদ ছাড়েন শমী কায়সার।
তিনি আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়