ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তৃতীয় দফায় চুক্তিতে নিয়োগকৃত

স্বৈরাচারের দোসর বিচারপতি শওকত হোসেন এখনো বহাল তবিয়তে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৬ Time View

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের তিন বারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন এখনও তার স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন ৯-১-২০২০ ইং তারিখে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাকে ২১-৬-২০২০ ইং তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

উক্ত মেয়াদ শেষে তাকে ২১-৬-২০২২ ইং তারিখ থেকে পুনরায় দুই বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। ২১-৬-২০২২ ইং তারিখ থেকে তার দুই বছরের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। পরপর তিনবার দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো এক নজির বিহীন ঘটনা। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ২০১০ সনের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১২ সনের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।

বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারক হিসাবে ২০১৭ সনের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। তার এই রায়ে সন্তুষ্ট ছিলেন শেখ হাসিনা ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত এই বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন। আর তাই তাকে অবসর গ্রহণের পরে তিন বার ৬ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায় যে, ২০২৩ সনে ১৫ই আগষ্ট প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে তিনি জাতীয় শোক দিবসের আয়োজন করেন। চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদানের পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে চরম স্বেচ্ছাচারী ও অনুরাগের বশবর্তী হয়ে বেআইনীভাবে রায় প্রদান করে চলেছেন। এক্ষেত্রে ৪৩৮/২৩, ১১৬/২০২৪, ১০৭/২৪ নং আপীল মামলার রায় উল্লেখ করা যায়। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের বর্তমান বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৭৩ বছর। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের নিয়োগ বাতিল করলেও রহস্যজনক কারণে বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের নিয়োগ বাতিল হয় নাই। সংশ্লিষ্ট মহল অবিলম্বে বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

তৃতীয় দফায় চুক্তিতে নিয়োগকৃত

স্বৈরাচারের দোসর বিচারপতি শওকত হোসেন এখনো বহাল তবিয়তে

বিশেষ প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:০৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের তিন বারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন এখনও তার স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন ৯-১-২০২০ ইং তারিখে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাকে ২১-৬-২০২০ ইং তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

উক্ত মেয়াদ শেষে তাকে ২১-৬-২০২২ ইং তারিখ থেকে পুনরায় দুই বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। ২১-৬-২০২২ ইং তারিখ থেকে তার দুই বছরের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। পরপর তিনবার দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো এক নজির বিহীন ঘটনা। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ২০১০ সনের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০১২ সনের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।

বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারক হিসাবে ২০১৭ সনের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। তার এই রায়ে সন্তুষ্ট ছিলেন শেখ হাসিনা ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তাদের অত্যন্ত বিশ্বস্ত এই বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেন। আর তাই তাকে অবসর গ্রহণের পরে তিন বার ৬ বছরের জন্য চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায় যে, ২০২৩ সনে ১৫ই আগষ্ট প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে তিনি জাতীয় শোক দিবসের আয়োজন করেন। চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদানের পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তিনি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন মামলায় অসৎ উদ্দেশ্যে চরম স্বেচ্ছাচারী ও অনুরাগের বশবর্তী হয়ে বেআইনীভাবে রায় প্রদান করে চলেছেন। এক্ষেত্রে ৪৩৮/২৩, ১১৬/২০২৪, ১০৭/২৪ নং আপীল মামলার রায় উল্লেখ করা যায়। বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের বর্তমান বয়স সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৭৩ বছর। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের নিয়োগ বাতিল করলেও রহস্যজনক কারণে বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের নিয়োগ বাতিল হয় নাই। সংশ্লিষ্ট মহল অবিলম্বে বিচারপতি মোঃ শওকত হোসেনের প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের দাবী জানিয়েছেন।