ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা নিবেদন সন্দ্বীপের বেড়ীবাঁধ এলাকায় চলমান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে নোয়াখালীতে ৩৬ কলেজ-মাদরাসায় ছাত্রদলের নতুন কমিটি, আনন্দ মিছিল ফরিদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট নতুন বাংলাদেশ গড়তে সঠিক তথ্য জানতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা সেনাবাহিনীসহ অনেককেই নানাভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে লেডি বাইকার এশা গ্রেপ্তার ৯ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয় করা যাবে লোহাগাড়ায় শিশু যৌন হয়রানির চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

স্বাধীনতা পুরস্কার নেবেন না বদরুদ্দীন উমর

জাতীয়
  • Update Time : ১২:১৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ২৬ Time View

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরসহ আট বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি উমর এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।

বদরুদ্দীন উমর ছাড়াও ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পদকের জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে (মরনোত্তর) লে. কর্নেল অব. এম এ জি ওসমানী, সংস্কৃতিতে (পপ সংগীত, মরণোত্তর) আজম খান, সমাজসেবায় (মরণোত্তর) ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ভাস্কর্যে (মরণোত্তর) নভেরা আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম ও শিক্ষার্থী (মরণোত্তর) আবরার ফাহাদ।

স্বাধীনতা পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানীর অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই পদক দেয়া হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দেয়া হয়। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

স্বাধীনতা পুরস্কার নেবেন না বদরুদ্দীন উমর

জাতীয়
Update Time : ১২:১৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরসহ আট বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি উমর এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।

বদরুদ্দীন উমর ছাড়াও ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পদকের জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন- স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে (মরনোত্তর) লে. কর্নেল অব. এম এ জি ওসমানী, সংস্কৃতিতে (পপ সংগীত, মরণোত্তর) আজম খান, সমাজসেবায় (মরণোত্তর) ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, ভাস্কর্যে (মরণোত্তর) নভেরা আহমেদ, কবি আল মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম ও শিক্ষার্থী (মরণোত্তর) আবরার ফাহাদ।

স্বাধীনতা পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানীর অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই পদক দেয়া হয়। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দেয়া হয়। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।