ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলার রূপরেখা অঙ্কন করবে: ইসি সানাউল্লাহ আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয় আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া দাম কমিয়ে বৈধ আমদানি বাড়াতে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমছে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ : চরমোনাই পীর ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • / ৩১৮ Time View

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

স্বস্তি নেই সিলেটের বাজারে

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৯:৩১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বন্যার পর সিলেটে নিত্যপণ্যের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজির দাম। শুধু সবজি না, সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের দামও সাধ্যের বাহিরে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছেন না সিলেটবাসী। কিছুতেই যেন স্বস্তি নেই। দাম কমার কোনো সুখবর নেই। সব মিলিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এর জন্য অবশ্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।শুক্রবার সিলেট মগানগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে সুবহানীঘাট সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। যা এক সাপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া টমেটো ৯০ টাকা কেজি, ঢেরস ২৫ টাকা, পটল কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস। এদিকে, চলতি সপ্তাহেও কমেনি আলু ও পেঁয়াজের দাম। এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা করে। আর তেলাপিয়া মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬২০ টাকা, শিং ৩২০ টাকা এবং ইলিশ সাইজ ভেদে ১২০০ থেকে ১৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেনি ব্রয়লার, সোনালি, পাকিস্তানি এবং লাল মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেটে বন্যার কারণে অনেক সবজি বাগান নষ্ট হয়েগেছে। যার কারণে বর্তমানে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম। তবে চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বেশি। সামনে জিনিসপত্রের দাম কমবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রেতারা বলেন, বাজারে যে টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা দিয়ে মনে হয় না অর্ধেক বাজার করতে পারব। আমাদের সাধারণ মানুষের কথা তো কেউ ভাবে না। প্রতিবছর নতুন নতুন বাজেট আসবে, কিন্তু আমাদের একটু স্বস্তি আসবে কবে? কোনো কিছুর দাম কমছে না। একবার বাড়লে সেটা আর কমে না। আমরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। আর সেটা দেখার কেউ নেই।