ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন জাবি উপাচার্য পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তরুণদের আরেকটি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ডিএমপির ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন এএসআই পলাশ কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ কুবিতে তিন দপ্তরে ‘বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগ গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা চায় বাংলাদেশ টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত : ড. ইউনূস লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা প্লট জালিয়াতির ৩ মামলায় প্রধান আসামি রেহানা-ববি-আজমিনা, সহযোগী হাসিনা-টিউলিপ

স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:১৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৭ Time View

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।ফাইল ছবি।

মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। একই সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে আজ রোববার ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি)’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। আজ ইটিআইতে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন এ কাজে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

সবাইকে পুরোনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সব সংস্কারের বড় সংস্কার হলো নিজেকে, নিজের আত্মাকে সংস্কার করা। নিজের মনকে সংস্কার করা। আমাদের মন-মগজের যদি সংস্কার না হয়, তবে এই সংস্কার আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ক্রিটিক্যাল টাইমে (ক্রান্তিকালীন) নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই একটা নির্বাচন কমিশন।’

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি… ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায় এমন সংস্কার বা পুনর্গঠন হোক। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন-কানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এ সময় পুরনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান নাসির উদ্দীন।

সিইসি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ হালনাগাদে ২ জানুয়ারি ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে, একটা ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এতদিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি- আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’

এ সময় সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন সিইসি।

নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তারা আসবে আমাদের কাছে। তাদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি-ইনশাআল্লাহ তাদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তারা যে বঞ্চিত হয়েছে, যে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।’

সিইসি বলেন, ‘জাতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে একটা ফ্রি (অবাধ), ফেয়ার (সুষ্ঠু), ক্রেডিবল ইলেকশন (গ্রহণযোগ্য নির্বাচন) জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা থেকে এত দিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’

এ সময় অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৬:১৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। একই সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে আজ রোববার ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ (টিওটি)’ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। আজ ইটিআইতে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন এ কাজে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

সবাইকে পুরোনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘সব সংস্কারের বড় সংস্কার হলো নিজেকে, নিজের আত্মাকে সংস্কার করা। নিজের মনকে সংস্কার করা। আমাদের মন-মগজের যদি সংস্কার না হয়, তবে এই সংস্কার আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। ১৮ কোটি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ক্রিটিক্যাল টাইমে (ক্রান্তিকালীন) নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই একটা নির্বাচন কমিশন।’

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি… ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সাথে খাপ খায় এমন সংস্কার বা পুনর্গঠন হোক। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন-কানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’ এ সময় পুরনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান নাসির উদ্দীন।

সিইসি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৩৬ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে সবশেষ হালনাগাদে ২ জানুয়ারি ১৮ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি থেকে নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে, একটা ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এতদিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি- আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’

এ সময় সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিতের কথা তুলে ধরেন সিইসি।

নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তারা আসবে আমাদের কাছে। তাদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি-ইনশাআল্লাহ তাদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তারা যে বঞ্চিত হয়েছে, যে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।’

সিইসি বলেন, ‘জাতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি হচ্ছে একটা ফ্রি (অবাধ), ফেয়ার (সুষ্ঠু), ক্রেডিবল ইলেকশন (গ্রহণযোগ্য নির্বাচন) জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা থেকে এত দিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’

এ সময় অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।