ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পিএসসির নতুন তিন সদস্যকে শপথ পড়ালেন প্রধান বিচারপতি সিংহ একাই শিকার করে : মোদিকে থালাপতি বিজয়ের হুঁশিয়ারি! কুবির ফিটনেসবিহীন বিআরটিসি বাসের সাথে ট্রাকের ধাক্কা, আহত ৪ রুমিন ফারহানা বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক: হাসনাত আবদুল্লাহ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে গ্রেফতার বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই : রুমিন ফারহানা কিশোরগঞ্জে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ছাত্রলীগ নেতার ভুয়া নিয়োগ মোহাম্মদপুর থানার বিতর্কিত ওসি আলী ইফতেখারসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘেটু জাহিদুরের প্রমোশন

সৌদিতে ইউক্রেনকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১১৪ Time View

সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। তবে ইউক্রেনকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। খবর বিবিসির।

বৈঠকে যোগ দেওয়া মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, আজকের বৈঠকটি আলোচনা শুরু করার বিষয়ে নয়। রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কি না সে বিষয়ে কাজ করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

অপরদিকে রাশিয়া বলেছে, তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক কত সময় ধরে চলবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটাই যুক্তরাষ্ট্র এবং রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম বারের মতো মুখোমুখি বৈঠক।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলছেন। ইউক্রেন বা ইউরোপের কোনো দেশকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন যে আলোচনায় যুক্ত নয় সেখানে হওয়া কোনো চুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে না তারা।

ইউরোপীয় নেতারাও এই বৈঠকে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। গতকালই তারা একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার বলেছেন যে, তিনি একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনে তার দেশের সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করবেন, তবে অন্যান্য দেশগুলো এ বিষয়ে অনিচ্ছুক।

এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, আমি জানি না, তারা (ইউরোপীয় দেশগুলো) আলোচনার টেবিলে কী করবে। যদি তারা শুধুমাত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কোনো কৌশল প্রস্তাব করতে আসে, তবে তাদের আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই।

রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও তারা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।

পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি, ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, এই সহায়তা আসলে শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে, যা এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

সৌদিতে ইউক্রেনকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠক শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৬:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় তিন বছর ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। তবে ইউক্রেনকে ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। খবর বিবিসির।

বৈঠকে যোগ দেওয়া মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, আজকের বৈঠকটি আলোচনা শুরু করার বিষয়ে নয়। রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কি না সে বিষয়ে কাজ করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

অপরদিকে রাশিয়া বলেছে, তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক কত সময় ধরে চলবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এটাই যুক্তরাষ্ট্র এবং রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম বারের মতো মুখোমুখি বৈঠক।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলছেন। ইউক্রেন বা ইউরোপের কোনো দেশকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেন যে আলোচনায় যুক্ত নয় সেখানে হওয়া কোনো চুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে না তারা।

ইউরোপীয় নেতারাও এই বৈঠকে সম্পৃক্ত থাকতে চেয়েছিলেন। গতকালই তারা একটি জরুরি বৈঠক করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার বলেছেন যে, তিনি একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনে তার দেশের সৈন্য পাঠানোর কথা বিবেচনা করবেন, তবে অন্যান্য দেশগুলো এ বিষয়ে অনিচ্ছুক।

এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, আমি জানি না, তারা (ইউরোপীয় দেশগুলো) আলোচনার টেবিলে কী করবে। যদি তারা শুধুমাত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কোনো কৌশল প্রস্তাব করতে আসে, তবে তাদের আমন্ত্রণের কোনো প্রয়োজন নেই।

রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলো পক্ষপাতদুষ্ট ও তারা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে।

পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি, ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, এই সহায়তা আসলে শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে, যা এই অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।