ঢাকা ০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৩৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩২১ Time View

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক। রোববার (১২ অক্টোবর) তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সরকারি সিদ্ধান্তের পরই এ পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একীভূত সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে তা গঠন করে। এতে সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম। তবে এক বছরের বেশি সময়েও ব্যাংকটির অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে একে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগির ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বাতিল করা হবে বলেও জানা গেছে।

চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে রেজাউল হক লিখেছেন, স্বতন্ত্র পরিচালকদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংকের সঙ্গে কোনো স্বার্থ-সম্পর্ক নেই। তাদের সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ ব্যাংক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে দায়িত্ব দিলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব হতো।

রেজাউল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক বছরের বেশি সময় শুধু দৈনিক অফিস করা ও বেতন নেওয়া ছাড়া কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। এমনকি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শুনানিতে আমার অনুপস্থিতিতে অংশগ্রহণ করেছেন, যা তাদের এখতিয়ারের বাইরে।’

পদত্যাগপত্রে রেজাউল হক উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘অস্ত্রের মুখে’ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের দখলের পর সাত বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটি প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু তার পরিবর্তে অকার্যকর স্বতন্ত্র পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।’

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালকরা ব্যাংক পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। সে কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। এখন কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় পর্ষদের সভাও করা সম্ভব হবে না।’

Please Share This Post in Your Social Media

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ

অর্থনীতি ডেস্ক
Update Time : ১১:৩৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক। রোববার (১২ অক্টোবর) তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সরকারি সিদ্ধান্তের পরই এ পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় একীভূত সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

২০১৭ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে তা গঠন করে। এতে সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক ও চারজন স্বতন্ত্র পরিচালককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম। তবে এক বছরের বেশি সময়েও ব্যাংকটির অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে একে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগির ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বাতিল করা হবে বলেও জানা গেছে।

চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে রেজাউল হক লিখেছেন, স্বতন্ত্র পরিচালকদের ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যাংকের সঙ্গে কোনো স্বার্থ-সম্পর্ক নেই। তাদের সমন্বয়ে গঠিত পর্ষদ ব্যাংক পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে দায়িত্ব দিলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব হতো।

রেজাউল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালকরা এক বছরের বেশি সময় শুধু দৈনিক অফিস করা ও বেতন নেওয়া ছাড়া কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। এমনকি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শুনানিতে আমার অনুপস্থিতিতে অংশগ্রহণ করেছেন, যা তাদের এখতিয়ারের বাইরে।’

পদত্যাগপত্রে রেজাউল হক উল্লেখ করেন, তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘অস্ত্রের মুখে’ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের দখলের পর সাত বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আশা করেছিলাম বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটি প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু তার পরিবর্তে অকার্যকর স্বতন্ত্র পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।’

পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র পরিচালকরা ব্যাংক পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছেন। সে কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। এখন কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় পর্ষদের সভাও করা সম্ভব হবে না।’