সৈয়দপুর হিউম্যানিটি ইন ডিস্ট্রেস (হিড) এর কোরবানি প্রোগ্রামে ১৪,৩৯,০০০ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ
- Update Time : ০৭:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
- / ৭৪ Time View
ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি ইন ডিস্ট্রেস (হিড) পরিচালিত এনজিও নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদের বাসা নাম্বার ৮১, রোড নম্বার ০১, নিউ সেনপাড়া রংপুর। উক্ত এনজিওর অর্থায়নে সৈয়দপুরে কোরবানির ২০২৪ কোরবানি প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৮ ও ১৯ তারিখ ক্যাম্পবাসিদের মাঝে গরু ছাগল কোরবানি করে বিতরণ করা হয়।
চামড়া গুদাম ক্যাম্পবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোবাইল ফোনে অভিযাগ করে বলেন, কোরবানির পশু এনজিও (হিড) ও কিছু সিন্ডিকেট মিলে লুটপাট করছেন।
এ ব্যাপার সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে টেলিফানে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ”কয়টি এনজিও কোরবানি প্রোগ্রামের কাগজ জমা দিয়েছেন তা তার ডাক ফাইল এখনও আসেনি।”
প্রধানমন্ত্রীর এনজিও বিষয়ক কার্যালয়ের টাকা ছারপত্রের প্রথম শর্ত, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সম্পৃক্ত করে এ প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আপনার দপ্তর থেকে কোন প্রকার ট্র্যাক অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিনা তিনি বলেন, ”এটি কোথাও বলা নাই”। পরবর্তীতে সৈয়দপুর উপজেলা এনজিও বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরের কর্মকর্তাকে টেলিফোনে তার কাছে (হিড) এনজিওর কোরবানির প্রোগ্রামের কাগজপত্র জমা দিয়েছে কিনা? তিনি বলেন, কাগজপত্র তারা জমা দিয়েছে। সেখানে বলা আছে সৈয়দপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দ ৪০ টি গরু, ৪০ টি ছাগল। প্রতিটি গরুর মূল্য ৮০,৭৩০ টাকা, প্রতিটি ছাগলর মূল্য ১৫,২১০ টাকা।
অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪/৫ জন সাংবাদিক কোরবানির স্থানে গেলে উক্ত এনজিওর প্রতিনিধি লতিফকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, দুই দিনে কোরবানি হয়েছে ২৫ টি গরু ও ২৫ টি ছাগল। তার কাছে এফসি ওয়ান ও এফডি সিক্স এর কাগজ সহ পশুর পরিমাণ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ রংপুরে আছে। কোরবানির স্থলে কোন কাগজ নাই কেনো, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি নারাজ।
এ ব্যাপার ঘটনাস্থলে গিয়ে এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ হারুনের মোবাইল নাম্বার (০১৭৫০৫৬৮৪২০) কল দিলে তিনি জানান, সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ২৫ টি গরু ২৫ টি ছাগল বরাদ্দ হয়েছে। যা সৈয়দপুর নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে জমাকৃত তার স্বাক্ষরিত কাগজর সাথে কোন মিল নাই। তাদের ভাষ্যমতে, তারা কোরবানি কম দিয়েছে ১৫ টি গরু, ১৫ টি ছাগল যার মোট মূল্য ১৪,৩৯,১০০ টাকার কোরবানির পশুর কোন হিসাব কাগজের সাথে মিলছে না।
সাংবাদিকরা স্বশরীরে উপজেলায় গিয়ে এনজিওর জমাকৃত কাগজে দেখতে পায়, তারা সর্বসাকুল্য বরাদ্দ ৫৩,৬১,৬১০ টাকা । যার বরাদ্দপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ের বরাদ্দপত্র নিলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ৪০ টি গরু, ৪০ টি ছাগল। রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার জন্য ১২ টি গরু ১০ টি ছাগল। ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার জন্য ৫ টি গরু। মোট ৫৭ টি গরু ৫০ টি ছাগল। তারা সৈয়দপুর উপজলায় ১৫ টি গরু, ১৫ টি ছাগল গায়েব করে দুর্নীতি করেছে।
এ ব্যাপার চামড়াগুদাম ক্যাম্পের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, এইভাব তারা গরীবের নামে কোরবানি নিয়ে এসে লুটপাট করে খাচ্ছে।