ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড মাদক বিরোধে যুবক খুন, অভিযানে মিললো ৯ কোটি টাকার মাদক নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণ-হত্যা মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৬ ক্ষমতার লোভ শেখ মুজিবও সামলাতে পারেননি

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শতভাগ পাস, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৮ জন

আল-আমিন, নীলফামারী
  • Update Time : ০৯:১৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৩৩৫ Time View

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১০৮ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষা দেওয়া ১১৬ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।

শতভাগ পাস ও রেকর্ড জিপিএ-৫ পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

উল্ল্যেখ যে, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের পূর্বের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে কেবলমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়।

কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন রেজাল্টে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের ১১৬ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ ৫ পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। ১১৬ জনের মধ্যে ৮ জন জিপিএ পায় নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের পাঠদান চলে এনজয়েবল ক্লাসরুম লার্নিং পদ্ধতিতে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার মনোভাব ও মননশীলতা বাড়ে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়। এতে কলেজের পাশাপাশি বাড়িতেও যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার দিক থেকে সরে না যায় এটি নজরে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শতভাগ পাস, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০৮ জন

আল-আমিন, নীলফামারী
Update Time : ০৯:১৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১০৮ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষা দেওয়া ১১৬ শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন।

শতভাগ পাস ও রেকর্ড জিপিএ-৫ পাওয়ায় আনন্দে ভাসছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

উল্ল্যেখ যে, নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের পূর্বের নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নাম রাখে। কলেজটিতে কেবলমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল। উদ্দেশ্য ছিল এখান থেকে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার জন্য দক্ষ, কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে তোলা। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়।

কলেজটি থেকে প্রতি বছর উত্তীর্ণ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের নাম রয়েছে।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুকী বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন রেজাল্টে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের ১১৬ জন শিক্ষার্থীই জিপিএ ৫ পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। ১১৬ জনের মধ্যে ৮ জন জিপিএ পায় নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কলেজের পাঠদান চলে এনজয়েবল ক্লাসরুম লার্নিং পদ্ধতিতে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার মনোভাব ও মননশীলতা বাড়ে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে একটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়। এতে কলেজের পাশাপাশি বাড়িতেও যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার দিক থেকে সরে না যায় এটি নজরে থাকে।