ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল ও সাজার ব্যবস্থা করব: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি জাপানের ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা ভারত চায় না বাংলাদেশ জনগণের কথায় চলুক: রিজভী পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের সুখবর দিলেন আসিফ নজরুল সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে ১৩ নির্দেশনা আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে –পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো ডিসেম্বরেই আসছে মেট্রোরেলের ‘একক যাত্রা’র ২০ হাজার কার্ড শেখ হাসিনা ও রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

সুবিচারের জন্য শরীরের অঙ্গ বিক্রির লিফলেট সাঁটালেন নারী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • / ৩৭৫ Time View

সুবিচার পেতে যদি টাকা খরচ হয় তাহলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে হলেও তা জোগাড় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবন্ধী নারী। কয়েকটি জায়গায় সাদা কাগজে এসব কথা লিখে প্রিন্ট করে দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছেন মিনারা আক্তার সাথী নামের ওই নারী। এমনকি নিজের রক্তের গ্রুপও উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই কাগজে। এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট শহরে।

তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাঠলা গ্রামে। বাবার নাম মোনছের আলী। তার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। পরে সেখানে মূল্যায়ন না পেয়ে এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি চাকরি করেন।

মিনারা আক্তার জানান, ২০১২ সালের দিকে তিনি জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জ এলাকায় ফয়জুন নাহার নামের এক নারীর কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। জমি খারিজও (নামজারি) করেন। কয়েকমাস পর তিনি সেই জায়গায় টিন দিয়ে ঘর করতে গেলে বাধা দেন ফয়জুন নাহার। তিনি বিষয়টি জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়রকে জানান। মেয়র তাকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তিনি বিচার না পেয়ে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন।

মিনারা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এ জমিটার জন্য কয়েক বছর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। আমার বাচ্চাটিকে নিয়ে খুবই কষ্টে বসবাস করছি। তাই আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে এ পথ বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার এ লেখা দেখেও যদি কোনো সমাধান হয় তাহলে আমি আমার ছেলেটাকে নিয়ে সেখানে মাথা লুকানোর একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফয়জুন নাহারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি আগে জানতাম না, এখন জানলাম। ভুক্তভোগী ওই নারীর বিষয়ে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

Please Share This Post in Your Social Media

সুবিচারের জন্য শরীরের অঙ্গ বিক্রির লিফলেট সাঁটালেন নারী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

সুবিচার পেতে যদি টাকা খরচ হয় তাহলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে হলেও তা জোগাড় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবন্ধী নারী। কয়েকটি জায়গায় সাদা কাগজে এসব কথা লিখে প্রিন্ট করে দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছেন মিনারা আক্তার সাথী নামের ওই নারী। এমনকি নিজের রক্তের গ্রুপও উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই কাগজে। এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট শহরে।

তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাঠলা গ্রামে। বাবার নাম মোনছের আলী। তার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। পরে সেখানে মূল্যায়ন না পেয়ে এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি চাকরি করেন।

মিনারা আক্তার জানান, ২০১২ সালের দিকে তিনি জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জ এলাকায় ফয়জুন নাহার নামের এক নারীর কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। জমি খারিজও (নামজারি) করেন। কয়েকমাস পর তিনি সেই জায়গায় টিন দিয়ে ঘর করতে গেলে বাধা দেন ফয়জুন নাহার। তিনি বিষয়টি জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়রকে জানান। মেয়র তাকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তিনি বিচার না পেয়ে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন।

মিনারা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এ জমিটার জন্য কয়েক বছর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। আমার বাচ্চাটিকে নিয়ে খুবই কষ্টে বসবাস করছি। তাই আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে এ পথ বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার এ লেখা দেখেও যদি কোনো সমাধান হয় তাহলে আমি আমার ছেলেটাকে নিয়ে সেখানে মাথা লুকানোর একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফয়জুন নাহারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি আগে জানতাম না, এখন জানলাম। ভুক্তভোগী ওই নারীর বিষয়ে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।