ঢাকা ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

সুবিচারের জন্য শরীরের অঙ্গ বিক্রির লিফলেট সাঁটালেন নারী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • / ৫২২ Time View

সুবিচার পেতে যদি টাকা খরচ হয় তাহলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে হলেও তা জোগাড় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবন্ধী নারী। কয়েকটি জায়গায় সাদা কাগজে এসব কথা লিখে প্রিন্ট করে দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছেন মিনারা আক্তার সাথী নামের ওই নারী। এমনকি নিজের রক্তের গ্রুপও উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই কাগজে। এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট শহরে।

তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাঠলা গ্রামে। বাবার নাম মোনছের আলী। তার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। পরে সেখানে মূল্যায়ন না পেয়ে এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি চাকরি করেন।

মিনারা আক্তার জানান, ২০১২ সালের দিকে তিনি জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জ এলাকায় ফয়জুন নাহার নামের এক নারীর কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। জমি খারিজও (নামজারি) করেন। কয়েকমাস পর তিনি সেই জায়গায় টিন দিয়ে ঘর করতে গেলে বাধা দেন ফয়জুন নাহার। তিনি বিষয়টি জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়রকে জানান। মেয়র তাকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তিনি বিচার না পেয়ে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন।

মিনারা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এ জমিটার জন্য কয়েক বছর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। আমার বাচ্চাটিকে নিয়ে খুবই কষ্টে বসবাস করছি। তাই আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে এ পথ বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার এ লেখা দেখেও যদি কোনো সমাধান হয় তাহলে আমি আমার ছেলেটাকে নিয়ে সেখানে মাথা লুকানোর একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফয়জুন নাহারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি আগে জানতাম না, এখন জানলাম। ভুক্তভোগী ওই নারীর বিষয়ে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

Please Share This Post in Your Social Media

সুবিচারের জন্য শরীরের অঙ্গ বিক্রির লিফলেট সাঁটালেন নারী

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

সুবিচার পেতে যদি টাকা খরচ হয় তাহলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে হলেও তা জোগাড় করতে ইচ্ছুক এক প্রতিবন্ধী নারী। কয়েকটি জায়গায় সাদা কাগজে এসব কথা লিখে প্রিন্ট করে দেওয়ালে সেঁটে দিয়েছেন মিনারা আক্তার সাথী নামের ওই নারী। এমনকি নিজের রক্তের গ্রুপও উল্লেখ করে দিয়েছেন ওই কাগজে। এমন ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট শহরে।

তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর থানার কাঠলা গ্রামে। বাবার নাম মোনছের আলী। তার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। পরে সেখানে মূল্যায়ন না পেয়ে এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। ঢাকার বাইপাইল এলাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি চাকরি করেন।

মিনারা আক্তার জানান, ২০১২ সালের দিকে তিনি জয়পুরহাট শহরের মাদারগঞ্জ এলাকায় ফয়জুন নাহার নামের এক নারীর কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি কেনেন। জমি খারিজও (নামজারি) করেন। কয়েকমাস পর তিনি সেই জায়গায় টিন দিয়ে ঘর করতে গেলে বাধা দেন ফয়জুন নাহার। তিনি বিষয়টি জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়রকে জানান। মেয়র তাকে কাউন্সিলরের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তিনি বিচার না পেয়ে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দেন।

মিনারা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি এ জমিটার জন্য কয়েক বছর বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেছি। আমার বাচ্চাটিকে নিয়ে খুবই কষ্টে বসবাস করছি। তাই আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে এ পথ বেছে নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার এ লেখা দেখেও যদি কোনো সমাধান হয় তাহলে আমি আমার ছেলেটাকে নিয়ে সেখানে মাথা লুকানোর একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফয়জুন নাহারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি আগে জানতাম না, এখন জানলাম। ভুক্তভোগী ওই নারীর বিষয়ে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেবো।