ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত বন্ধ হলে বড় ক্ষতি ভারতের, ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২৮ Time View

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় চলছে প্রতিবেশী ভারতে। দেশটির গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সরকার, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোও সরব হয়েছে এ বিষয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক ভুল তথ্য। সেসবের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর। সীমান্ত দিয়ে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি।

কয়েকদিন ধরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ, মিছিল চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিসহ একাধিক সংগঠন দাবি করেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হোক।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ অন্যদের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যেতে দেওয়া হবে না। তবে বিজেপির এই ধরনের দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস।

সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতির শিকার হবে ভারতও। এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বনগাঁ পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমদানি-রপ্তানি না হলে বাংলাদেশের যেমন লস-লাভ হয়, আমাদেরও তেমন। আমাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ জড়িত এর সঙ্গে। এটা তাদের জীবিকার ব্যাপার। সুতরাং এটা যে একটা বড় সম্পদ, তা অস্বীকার করা যাবে না।

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোভাবে ব্যবসা বন্ধ হলে কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা- সে প্রশ্নের জবাবে কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এখানে আর্থিক ক্ষতি হবে। যারা সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষতি হবে। আমদানি-রপ্তানির ট্রাক, ট্রান্সপোর্টের সঙ্গে যুক্ত সবার ওপরে প্রভাব পড়বে। তাই এর দ্রুত একটা সমাধান দরকার।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের মধ্যে যেসব বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, তারা সবাই আতঙ্কিত। রপ্তানি ধীরে ধীরে কমছে। বড় বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানি বলেছে, তাদের অর্ডার অনেকটা কমে গেছে। আগে এক হাজার টন মালের অর্ডার থাকলে সে জায়গায় এখন মাত্র ৫০ টন মাল নিচ্ছে কোনো রকমে চালানোর জন্য।

কার্তিক চক্রবর্তী আরও বলেন, আমার মনে হয়, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই ভালো হবে। তারপরই দুই দেশের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়ানো যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

সীমান্ত বন্ধ হলে বড় ক্ষতি ভারতের, ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৭:০০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় চলছে প্রতিবেশী ভারতে। দেশটির গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সরকার, এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোও সরব হয়েছে এ বিষয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে একের পর এক ভুল তথ্য। সেসবের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর। সীমান্ত দিয়ে কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি।

কয়েকদিন ধরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ, অবরোধ, মিছিল চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিসহ একাধিক সংগঠন দাবি করেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হোক।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ অন্যদের মুক্তি ও সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন বন্ধ না হলে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যেতে দেওয়া হবে না। তবে বিজেপির এই ধরনের দাবির তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস।

সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতির শিকার হবে ভারতও। এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে বনগাঁ পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশন কর্মকর্তা কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমদানি-রপ্তানি না হলে বাংলাদেশের যেমন লস-লাভ হয়, আমাদেরও তেমন। আমাদের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ জড়িত এর সঙ্গে। এটা তাদের জীবিকার ব্যাপার। সুতরাং এটা যে একটা বড় সম্পদ, তা অস্বীকার করা যাবে না।

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনোভাবে ব্যবসা বন্ধ হলে কতটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা- সে প্রশ্নের জবাবে কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এখানে আর্থিক ক্ষতি হবে। যারা সরাসরি এর সঙ্গে যুক্ত তাদের ক্ষতি হবে। আমদানি-রপ্তানির ট্রাক, ট্রান্সপোর্টের সঙ্গে যুক্ত সবার ওপরে প্রভাব পড়বে। তাই এর দ্রুত একটা সমাধান দরকার।

বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের মধ্যে যেসব বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, তারা সবাই আতঙ্কিত। রপ্তানি ধীরে ধীরে কমছে। বড় বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানি বলেছে, তাদের অর্ডার অনেকটা কমে গেছে। আগে এক হাজার টন মালের অর্ডার থাকলে সে জায়গায় এখন মাত্র ৫০ টন মাল নিচ্ছে কোনো রকমে চালানোর জন্য।

কার্তিক চক্রবর্তী আরও বলেন, আমার মনে হয়, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই ভালো হবে। তারপরই দুই দেশের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়ানো যায়।