ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

সিলেটে ৭১-এর বধ্যভূমি, যেখানে হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য বীরকে

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট
  • Update Time : ১০:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
  • / ৭১ Time View

একাত্তরের দিনগুলোতে বাঙালিদের তুলে নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন স্থান নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা। পরে তাদের মাটিচাপা দেওয়া হতো। সিলেটের ক্যাডেট কলেজের পূর্ব দিকের টিলায় কাউকে গুলি করে আবার কাউকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়।

সিলেটের অন্যতম বড় বধ্যভূমির একটি কাকুয়ারপাড় এলাকায়। একাত্তরে এখানকার সিলেট ক্যাডট কলেজে ক্যাম্প গড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাসহ বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা ও নির্যাতন করা হতো। হত্যার পর দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ক্যাডেট কলেজের পেছনেই গণকবর দেওয়া হয়। এ সব তথ্য জানা ছিল এখানকার প্রায় সবার। ছিল মুখে মুখে, বইয়ের পাতায়। কিন্তু শহিদদের স্মরণে ছিল না কোনো স্মৃতিচিহ্ন। স্বাধীনতার পর গণকবরটি এতদিন পড়েছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়। সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই তেমন। এমনকি এখানে কাদের হত্যা করা হয়, সেই তালিকাও ছিল না কোথাও। তবে ২০২৩ সালের মার্চে কর্নেল মোহাম্মদ অব্দসসালাম বিপি (অব:) এবং ডা. জিয়া উদ্দিন আহমদ এমডি (ইউএসএ) এর উদ্যোগে সিলেটে গণহত্যার শিকার শিকার ৬৫ শহীদকে সম্মান জানানোর জন্য একটি উদ্যান করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের শ্রদ্ধা জানানোর স্থান পেয়ে ধন্যবাদও প্রকাশ করেন। শ্রদ্ধা জানানোর স্থান পেলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে অনেকের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই জায়গায় শুধু এই ৬৫ জন না আরো অনেকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় শনাক্ত করা গেলে তালিকায় তোলা হবে। এছাড়া এটি সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই তেমন। বর্তমান প্রজন্মকে শহীদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে অবহিত করতে এবং দেশ প্রেমে উদ্ভোদ্য করতে এই উদ্যানটি উন্মুক্ত করার দাবিও জানান অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে ৭১-এর বধ্যভূমি, যেখানে হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য বীরকে

মো.মুহিবুর রহমান,সিলেট
Update Time : ১০:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

একাত্তরের দিনগুলোতে বাঙালিদের তুলে নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন স্থান নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা। পরে তাদের মাটিচাপা দেওয়া হতো। সিলেটের ক্যাডেট কলেজের পূর্ব দিকের টিলায় কাউকে গুলি করে আবার কাউকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়।

সিলেটের অন্যতম বড় বধ্যভূমির একটি কাকুয়ারপাড় এলাকায়। একাত্তরে এখানকার সিলেট ক্যাডট কলেজে ক্যাম্প গড়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেই ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাসহ বাঙালিদের ধরে এনে হত্যা ও নির্যাতন করা হতো। হত্যার পর দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ক্যাডেট কলেজের পেছনেই গণকবর দেওয়া হয়। এ সব তথ্য জানা ছিল এখানকার প্রায় সবার। ছিল মুখে মুখে, বইয়ের পাতায়। কিন্তু শহিদদের স্মরণে ছিল না কোনো স্মৃতিচিহ্ন। স্বাধীনতার পর গণকবরটি এতদিন পড়েছিল পরিত্যক্ত অবস্থায়। সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই তেমন। এমনকি এখানে কাদের হত্যা করা হয়, সেই তালিকাও ছিল না কোথাও। তবে ২০২৩ সালের মার্চে কর্নেল মোহাম্মদ অব্দসসালাম বিপি (অব:) এবং ডা. জিয়া উদ্দিন আহমদ এমডি (ইউএসএ) এর উদ্যোগে সিলেটে গণহত্যার শিকার শিকার ৬৫ শহীদকে সম্মান জানানোর জন্য একটি উদ্যান করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের শ্রদ্ধা জানানোর স্থান পেয়ে ধন্যবাদও প্রকাশ করেন। শ্রদ্ধা জানানোর স্থান পেলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে অনেকের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই জায়গায় শুধু এই ৬৫ জন না আরো অনেকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম পরিচয় শনাক্ত করা গেলে তালিকায় তোলা হবে। এছাড়া এটি সেনানিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই তেমন। বর্তমান প্রজন্মকে শহীদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে অবহিত করতে এবং দেশ প্রেমে উদ্ভোদ্য করতে এই উদ্যানটি উন্মুক্ত করার দাবিও জানান অনেকে।