ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটে শিশু মুনতাহা হত্যার রহস্যজট এক মাসেও খুলেনি

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৫:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৭ Time View

সিলেটে আলোচিত ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যার ২৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোলেনি হত্যার রহস্যের জট। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চার আসামিকে গ্রেফতারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলেও আদালতে এসে দেননি। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত সবাই কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ বলছে- মামলার তদন্ত কাজ চলছে। দুদিন আগে সিআইডির কাছে কিছু আলামত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।

চলতি বছরের ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামে মুনতাহার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ ৯ নভেম্বর কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন। ১১ নভেম্বর মুনতাহা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আসামিরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের আলিফজান (৫৫), তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ জানান, ‘আমরা তদন্ত কাজ করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আসামিও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার কথা বলে আদালতে নিলে দেয়নি। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।’

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর পরই পুলিশ ধারণা করে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজন এ হত্যার ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের দিকে চোখ রাখছেন। এতো দিন পরও পুলিশ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জাতি কোন ক্লু দিতে না পারায় তাদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে শিশু মুনতাহা হত্যার রহস্যজট এক মাসেও খুলেনি

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৫:৫১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেটে আলোচিত ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যার ২৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোলেনি হত্যার রহস্যের জট। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চার আসামিকে গ্রেফতারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলেও আদালতে এসে দেননি। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত সবাই কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ বলছে- মামলার তদন্ত কাজ চলছে। দুদিন আগে সিআইডির কাছে কিছু আলামত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।

চলতি বছরের ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামে মুনতাহার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ ৯ নভেম্বর কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন। ১১ নভেম্বর মুনতাহা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আসামিরা হলেন সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের আলিফজান (৫৫), তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ জানান, ‘আমরা তদন্ত কাজ করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আসামিও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার কথা বলে আদালতে নিলে দেয়নি। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।’

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর পরই পুলিশ ধারণা করে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজন এ হত্যার ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের দিকে চোখ রাখছেন। এতো দিন পরও পুলিশ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে জাতি কোন ক্লু দিতে না পারায় তাদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

নওরোজ/এসএইচ